তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকরা। গতকাল শনিবার রাজধানীর বেশ কয়েকজন পাঠাও-উবার চালকের সঙ্গে কথা বললে তেলের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড থেকে আগারগাঁও যাবেন সুজন মিয়া। দাঁড়িয়ে থাকা এক মোটরসাইকেল চালককে কত নেবেন জানতে চাইলে ১৮০ টাকা চান তিনি। পরে দেড়শ টাকা বললেও রাজি হন না রাইড শেয়ারিং করা ওই মোটরসাইকেলচালক।
মো. সোহাগ নামে ওই চালক বলেন, ‘আগের ভাড়াই ছিল দেড়শ টাকা। আজ ৪০ টাকা বেশি দিয়ে তেল কিনছি। ৩০ টাকা বেশি চাইছি। অথচ উনি আগের ভাড়াই বলছেন। এজন্য যাইনি। সকালে ২০০ টাকার তেল নিছি। একজনও যাত্রী পাই নাই। একটু বেশি চাই বলে অনেকেই রাগারাগি করে চলে যাচ্ছেন। আমার কি করার আছে।’
মহাখালীর আমতলী মোড়ে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু মোটরসাইকেল। এমন সময় এক নারী হঠাৎ রেগে ওঠেন। ওই নারী বলেন, আগে ৮০ টাকা দিয়ে যাইতাম।
পরে রাগারাগির কারণ জানতে চাইলে মো. হাসান নামে এক পাঠাওচালক বলেন, মহাখালী থেকে উনি কারওয়ান বাজার ৮০ টাকা বলছেন। আমি ১২০ টাকা বলছি, তাও যাবে না।
তেলের দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়ে হাসান বলেন, কিছু করার নাই। আমরা ভাড়া বেশি চাই বলে মানুষ রাগ করে। আবার কম নিলেও ইনকাম হয় না। কি আর করার, ইনকামও অর্ধেক হবে।
আরও এক রাইড শেয়ারিং চালক বলেন, অনেকেই এসে বলে অ্যাপসে যাবে। কিন্তু তেলের দাম বাড়ছে, অ্যাপ তো আপডেট করেনি। এজন্য বিপদও হইছে। দরদাম করলেও যেতে রাজি হন না অনেকেই। শুক্রবার রাত থেকেই কার্যকর হয়েছে সরকার ঘোষিত ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন ও অকটেনের নতুন দাম।