কিছুদিন আগেই আমেরিকা থেকে ফিরেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াত। দেশে ফিরেই তিনি তার পেশাগত কাজ অর্থাৎ অভিনয়ে ফিরেছেন। এরইমধ্যে তিনি গুণী নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ নাটক ‘আনন্দধাম’-এ অভিনয় করেছেন।
এতে গল্পের প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত। আরও অভিনয় করেছেন মিলি বাশার, রুকাইয়া জাহান চমক ও আরশ খান। নাটকটির গল্প রচনা করেছেন মাসুম শাহরিয়ার; প্রযোজনা করেছেন মালা খন্দকার। নাটকটিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন অমিতাভ আহমেদ রানা ও সুব্রত মিত্র। ক্যামেরায় ছিলেন মো. এসআর নাহিদ।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘এটা সত্যি যে, নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে চয়নিকা চৌধুরী আমাদের দেশে একটি ব্র্যান্ড। এক নামেই তাকে নাটকপ্রেমী দর্শকরা চেনেন। আর টিভির পর্দায় তার কোনো নাটকের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায় যে এটি চয়নিকা চৌধুরীর নাটক। কারণ শত শত নাটক নির্মাণ করে চয়নিকা চৌধুরী নিজেকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছেন যে, কোনো দৃশ্য দেখলেই তা সহজে অনুমাণ করা যায় যে এটি তারই নাটক।
আবার গল্প উপভোগ করলেও বোঝা যায়। কারণ গল্প নির্বাচনেও চয়নিকা ভীষণ চুজি। আমি যে আমেরিকায় গিয়েছিলাম, সেখানেও তার নির্দেশনা-তার নির্মিত নাটকের প্রশংসা শুনেছি। যে কারণে সব মিলিয়ে তার নির্দেশিত নাটকে কাজ করতে সব সময়ই ভীষণ ভালো লাগে।’
মিলি বাশার বলেন, ‘অনেকদিন পর হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অভিনয় করে ভীষণ ভালো লেগেছে। চয়নিকার নির্দেশনা সব সময়ই ভীষণ পছন্দের আমার। কারণ সবকিছুর ব্যাপারে চয়নিকা ভীষণ নিখুঁত।’
চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘তাকে আমি বাবা বলেই ডাকি, তিনি আবুল হায়াত। নাটকে তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের কাছে এক অন্যরকম ভালো লাগা, আর আমার কাছে ভীষণ তৃপ্তির-শান্তির একটি বিষয়।
পাশাপাশি মিলি আপাও আছেন এ নাটকে। এই প্রজন্মের দুই শিল্পী চমক ও আরশও আছে। সব মিলিয়ে আনন্দধাম দর্শকের ভালোলাগার মতো একটি নাটক হয়েছে। আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের। ধন্যবাদ মিলি খন্দকার, ধন্যবাদ নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ারকেও।’
এদিকে আবুল হায়াত জানান, আপাতত তিনি নতুন কোনো নাটক নির্মাণ করছেন না। সর্বশেষ তিনি ইরেশ যাকের ও জাকিয়া বারী মমকে নিয়ে একটি নাটক নির্মাণ করেছিলেন চ্যানেল আইয়ের জন্য।