চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ বন্ধুপ্রতীম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী রাষ্ট্র ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে থাকা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারি, চীন ইস্যু, তিস্তা ইস্যু, নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারসহ নানা বিষয় নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সব মহলে এ সফর।
কূটনীতিকরা বলছেন, এ সফরে যুগান্তকারী বড় ধরনের কোনো চুক্তি হবে না। তবে এ সফর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে দুদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়াসহ বহুমুখী সম্পর্ক স্থাপিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উভয় দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরই বাইরেও দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলোও নিষ্পত্তির ইতিবাচক অগ্রগতি হতে পারে।
গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর সফরের সর্বশেষ পরিস্থিতি সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত সফরে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব চুক্তি-সমঝোতা স্মারক পানি ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার, প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত। অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবেন।
তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, এর বাইরে আরও কয়েকটি সমঝোতা হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সুসম্পর্কের কল্যাণে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্থল ও জলসীমার মতো বিষয়গুলো সমাধানের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এ ছাড়া আরও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুও সমাধান হয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করবেন। ৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে তার আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হবে। এরপর তিনি রাজঘাট গান্ধী সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর দুদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউজে।
বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বৈঠকে দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যেমন— দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ প্রভৃতি অধিক গুরুত্ব পাবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ-বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনাসদস্য শহীদ বা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ দেয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর এ দুটি পর্যায়ে স্কলারশিপ দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে শহীদ ও আহত ভারতীয় সেনাসদস্যদের পরিবারের মধ্যে এ স্কলারশিপ নিজ হাতে তুলে দেবেন।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনাসদস্যদের মহান আত্মত্যাগকে যথাযথ সম্মানের সাথে স্মরণ করা হবে। ড. মোমেন বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি বিজনেস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ভারত সফর করবে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই ইভেন্টে উপস্থিত থাকবেন।
বিজনেস ইভেন্টের মাধ্যমে যেমন বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের চিত্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে ধরা যাবে, তেমনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সুসম্পর্ক বর্তমানে বিশেষ উচ্চতায় অবস্থান করছে। বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে স্থল ও সমুদ্রসীমানা নির্ধারণ সারা বিশ্বের সামনে সহযোগিতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় যেমন নিরাপত্তা ইস্যু, আন্তঃসংযোগ, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জনযোগাযোগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক, আন্তঃদেশীয় বাস চলাচল, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে ভারত থেকে সিলেটে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
কুশিয়ারার পানি প্রত্যাহার ছাড়া আরও চারটি এমওইউ সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সহযোগিতা, বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, রেলের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতাবিষয়ক এমওইউ সইয়ের জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে।
এবার সফরের অর্থনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি, সেপা (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট)। এই চুক্তি হলে ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য দুই দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে।
এর বাইরে সুনীল অর্থনীতিতে সহযোগিতা ও দুই দেশের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম কর্তৃপক্ষের মধ্যে অতীতে সই হওয়া দুটি এমওইউ এবারের শীর্ষ বৈঠকের পর আবার নবায়ন করা হবে। ভারতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জিএমআরের সাথে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা রয়েছে।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একান্তে এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তালিকায় থাকা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর কেন্দ্র করে তিস্তা চুক্তি, রোহিঙ্গা সংকট ও চীনের দিকে বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নির্ধারিত না হলেও নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে এবং অগ্রগতি আসতে পারে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একটি সূত্র।
বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে উভয় দেশের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে গত শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারত সফরের প্রাক্কালে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এখন মূলত ভারতের ওপরই নির্ভর করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি (তিস্তা) অনেক পুরোনো সমস্যা। তাই এটি সমাধান হওয়া দরকার। তবে এটি মূলত নির্ভর করছে ভারতের ওপর।’শেখ হাসিনা গত বছর মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার আলোচনার কথা স্মরণ করেন। তিস্তার পানি বণ্টনে অন্তর্বর্তী চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশের আহ্বানের কথা আবারও তুলে ধরেন।
এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’ এ সমস্যা সমাধানে ভারত বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আলোচনা করছে, রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য তাদেরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই রোহিঙ্গা,...মানবিক কারণে আমরা তাদের আশ্রয় দিই। তাদের সব কিছু দিচ্ছি। এই করোনাকালে আমরা সব রোহিঙ্গাকে টিকা দিয়েছি। কিন্তু তারা কত দিন এখানে থাকবে?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
সেখানে কেউ মাদক কারবারি, কেউ সশস্ত্র সঙ্ঘাত, কেউ নারী পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই তারা যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবে, তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল, মিয়ানমারের জন্যও মঙ্গল। তাই তারা তাদের বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
তারা তাদের সাথে, আসিয়ান-ইউএনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনা করছেন। বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ভার্চুয়াল সামিটে অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুজিববর্ষের আয়োজনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেন।