রংপুরের পীরগঞ্জে ইউরিয়া সারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকরা। এতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।
গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ বাজারে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া কৃষক নাসির উদ্দিন, কবিরুল, এহসামুল, শরিফুল, মাহমুদসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ১০ দিন ধরে খুচরা দোকান ও ডিলারের কাছে ধরনা দিয়েও এক কেজি ইউরিয়া সার জোগাড় করতে পারেননি তারা। দেড় হাজার টাকা দিয়েও ইউরিয়ার বস্তা পাওয়া যাচ্ছে না।
তাদের অভিযোগ, এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষ পিছিয়ে গেছে। কষ্ট করে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করতে পারলেও এখন সার পাওয়া যাচ্ছে না। দু’এক দিনের মধ্যে জমিতে সার দিতে না পারলে ফসল পুষ্ট হবে না। ফলনে প্রভাব পড়বে। তাই বাধ্য হয়ে সারের জন্য সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
কৃষক ইব্রাহিম মণ্ডল বলেন, ‘হামার পীরগঞ্জোত ইউরিয়া সার সোনার হরিণ। সারা দিনেও একটা বস্তা সার পাওয়া যাওচে না বাহে। অথচ বস্তাপ্রতি ১৪শ-১৫শ টাকা দিলেই ফির সার মিলছে। সার নিয়্যা মারাত্মক সিস্টেম চলোছে। অথচ কৃষি বিভাগ কওছে, এত্তি নাকি সার সংকট নাই।’ এদিকে অবরোধ চলাকালে সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হলে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও সার না পেলে পরবর্তীতে বড় আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন কৃষকরা।
পীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামনাথপুর ইউনিয়নে সারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় কয়েকশ কৃষক। তারা উপজেলা পরিষদের সামনে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় ২০-২৫ মিনিট অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবারের কারণে ডিলারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক না হওয়ায় সার দিতে দেরি হয়। সময়মতো সার না পাওয়ায় শনিবার কৃষকরা উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কের পাশে অবস্থান করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার দেয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।