ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। জিয়া পরিবারের একজন আস্থাভাজন সদস্য। খালেদা জিয়াকে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করার যিনি প্রধান উদ্যোক্তা। জিয়াউর রহমানের দীর্ঘদিনের সহযোগী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। বঙ্গভবনে থাকা অবস্থায় পর্দার আড়ালে থেকে ড. অলি আহমদ নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যা পরবর্তীতে বিএনপি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সারা দেশে বিএনপিকে সুসংগঠিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করেন তিনি। যাকে বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সময় কারাবাসকালে তার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও আলোচিত হয়েছিলেন। গঠন করতে চেয়েছিলেন ‘মুক্তিমঞ্চ’। করতে চেয়েছিলেন সারা দেশে সমাবেশ। ওই সময় অলির তৎপরতা কারাগারে খালেদা জিয়া পর্যন্ত পৌঁছে ছিল। কারাগার থেকে পাওয়া গেছে সবুজ বার্তাও। পরে বিএনপির বাধায় সেটি আর বেশিদূর আগায়নি। সমপ্রতি সেই বিএনপির ঘরে আবার অলির গুরুত্ব বেড়েছে। যাওয়া হয়েছে অলির দরবারে। দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে চলছে জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা। স্লোগান তোলা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, ক্ষমতার বদলে কেয়ারটেকার, ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার।
এমন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, ডেমোক্রেটিক লীগ বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভিন্নতা ঘটেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম ড. কর্নেল অলি আহমদের মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় গিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। তাকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ট্রামকার্ড হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিএনপি ও দলটির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অলি আহমদ বিএনপিতে সব সময় একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে অবস্থান রয়েছে। তিনি বিএনপিতে বিশ্বস্ত। তার মাধ্যমে জিয়া পরিবারের বড় ক্ষতি হবে এমন ঝুঁকি নেই। রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপটে তার বিরোধিতা ও প্রশ্ন থাকতে পারে এটিকে কেউ বড় করে দেখছেন না। খালেদা জিয়ার নির্দেশে আবারো বিএনপিতে তার ভূমিকা, বুদ্ধি, পরামর্শ ও সহযোগিতার গুরুত্ব বেড়েছে। আগামীতে সরকার পতন ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে চোখ দু-একটি দেশের সহযোগিতা পেতে হলে অলিকে প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের পাশের দেশ ভারতের সবুজ ইঙ্গিত পেতে হলে অলি হতে পারে একমাত্র উপায়। বাংলাদেশে যে কয়জন নেতার দিকে ভারত সব সময় নজর রাখেন তার মধ্যে অলি অন্যতম।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ মার্চ এক ই-মেইল বার্তায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে (বীর বিক্রম) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে মোদি বলেন, ‘প্রিয় ড. কর্নেল অলি আহমদ, শুভ জন্মদিন। এ বছরটিতেও তোমার জীবন সুখ ও সাফল্যে ভরে উঠুক। নরেন্দ্র মোদি।’ এর আগে ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিএনপির সাথে ভারতের যে সম্পর্ক অতীত থেকে রয়েছে তা আরও দৃঢ় করতে সেতু বন্ধন তৈরি করতে বিএনপির এই প্রতিষ্ঠাতাকে অনেক বেশি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বিএনপিতে।
বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাদের ভাষ্য, দেশের গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধার ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিতে অলির সাথে বিএনপির দ্বিমত নেই। দেশের জনগণের প্রতি আন্তরিকতা ও মানুষের অধিকার নিশ্চিতে তিনি একজন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক। একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে আড়ালে রেখে অনেক কিছুই ঘটেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তিতে নীরবতা, সরকারের সাথে সংলাপে বসা, নানা নাটকীয়তায় পাঁচজন সংসদ সদস্যকে সংসদে পাঠিয়ে সরকারকে বৈধতা দেয়া রাজনৈতিক কৌশলের কথা বলাকে অলি আহমদ বিরোধিতা করেছিল। সে জন্য বিএনপির চলমান নেতারা কর্নেল অলিকে দূরে রেখেছিলেন। সম্মানের জায়গায় রাখেননি। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন দেখা দিলে এই মুক্তিযোদ্ধাকে সামনে রেখেও বিএনপি আগাতে চায় বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করছেন। খালেদা জিয়ার পরামর্শে আসতে পারে অলির ওপর বড় কোনো দায়িত্ব।
গত নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনকে সামনে রেখে বিএনপির যত বড় ক্ষতি হয়েছে এমন ক্ষতি সামনে আর বিএনপি দেখতে চায় না। রাজনীতি ও ত্যাগের পরিমাপে বিশ্বস্ত কাউকে সামনে রাখা হতে পারে। আর তাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার পছন্দের ব্যক্তিদের মধ্যে অলি আহমদ রয়েছেন স্বচ্ছদের মধ্যে অন্যতম। জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, মন্ত্রী, এমপি এবং সিনিয়র দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন অলি আহমদ। বিএনপিকে দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য অপরিসীম চেষ্টা করে একপর্যায়ে বিফল হন।
পরবর্তীতে ২৬ অক্টোবর ২০০৬ সালে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নতুন পার্টি এলডিপি গঠন করেন। এরপর থেকে তিনি বিএনপি ছাড়লেও খালেদা জিয়ার জোটে ছিলেন। আর বিএনপিতে না থাকলেও খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে ভূমিকায় ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ২০০৫ সালে আমরা মনে করেছিলাম, রাজনীতিতে ভুল হচ্ছে। সে জন্য উপমহাদেশে একটা নজিরবিহীন ঘটনা হয়েছিল। তিনজন মন্ত্রীসহ ৩২ জন সংসদ সদস্য নিয়ে আমরা এলডিপি গঠন করি। এটা বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, সে সময় সামগ্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের বিদ্রোহ ছিল। ওই সময় বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি। গত বছর একটি অনুষ্ঠানে তিনি জামায়াতে ইসলামী নিয়ে মন্তব্য করে দেশ-বিদেশে শিরোনামে এসেছিলেন। তিনি জামায়াতের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক নয়। দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে। জামায়াতের নেতাকর্মীরা দেশকে ভালোবাসে ও তারা দেশপ্রেমিক।’একজন অলি আহমদের প্রতি দৃষ্টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান কর্নেল অলি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরীকে নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, কর্নেল অলি ও বি. চৌধুরী নতুন বিএনপি গঠন করছেন। সেই দলে বিএনপির অনেকে যোগদান করবেন। গত মাসে রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ জানান, আগামী সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকবে তার দল এলডিপি, নাগরিক ঐক্য ও জামায়াত। এসময় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনেরও ইঙ্গিত দেন অলি। ওই সভায় পাশে বসা ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম। তিনিও আগামীতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের ব্যাপারে একমত পোষণ করে বক্তব্য দেন।
অলি বলেন, আজ আমার পাশে জামায়াত বসে আছে। এখন যদি বিএনপি পাশে বসে, তাহলে ওরা (আওয়ামী লীগ) জান বাঁচানোর রাস্তাও খুঁজে পাবে না। সে সময়ও আসবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও এ নিয়ে মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কর্নেল অলি একটি অনুষ্ঠান করেছেন। সেখানে জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ছিলেন। এতে তো দোষের কিছু দেখছি না। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাও বলেছেন, সরকার পতনের অভিন্ন দাবিতে ভিন্ন আদর্শিক অবস্থানের দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনে নাগরিক ঐক্য সবসময় সমর্থন জানিয়েছে। ওই সময় থেকে সরকার বিরোধিতায় অলির অবস্থান খালেদা জিয়ার দরবার পর্যন্ত পৌঁছতে থাকে। অলিকে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে তালিকায় নিয়ে আসেন খালেদাপন্থিদের বড় অংশ। যিনি আন্দোলনের মাঠে বিরোধ চান না। সবার সহযোগিতাকে গুরুত্ব দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে অলির দলে অন্তত কয়েকশ জামায়াত এবং শিবির থেকে সদ্যবিদায়ী তরুণ দলটিতে যোগ দিয়েছে। অলির দলের ভেতর থেকেই অভিযোগ উঠেছে, যারা দীর্ঘদিন অলির সাথে রাজনীতি করছেন এখন তারা আর বেশি সুযোগ পাচ্ছেন না। জামায়াতে ইসলামীর চৌকস নেতারা অলির দলে যোগ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অলির ব্যানারে খুব শিগগিরই বড় কোনো আন্দোলনের ডাক আসতে পারে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের নানা কৌশলে বিএনপির ব্যানারে যেতে না পারলেও অলির ব্যানার থেকে যোগ দেবে।
সরকারবিরোধী রাজনীতিতে এখন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোই মূল টার্গেট হিসেবে নেয়া হয়েছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই দলীয় সরকারের অধীনে হতে দেয়া হবে না। এজন্য নির্বাচনের ছয় মাস আগে থেকেই বিএনপির ঘরে রাখা হয়েছে কমিশন ঘেরাও, ঢাকায় বৃহৎ অবস্থানসহ সরকার বাধ্য করার মতো অনেক পদক্ষেপ। যেখানে মাঠে প্রয়োজন হবে জামায়াতে ইসলামীকেও। রাজপথের আন্দোলনের জন্য জামায়াত পরীক্ষিত। এজন্য বিএনপির ঘর থেকে চাওয়া হচ্ছে বিএনপির ব্যানার ছাড়া জামায়াত আলাদা আন্দোলন করবে কিংবা অন্য কোনো দলের ব্যানারে। সে ক্ষেত্রে অলির যেহেতু জামায়াতের সাথে সখ্যতা রয়েছে তাই তার মাধ্যমে জামায়াতের ফসলও বিএনপি নিতে চায় বলে বিএনপি ও এলডিপির সিনিয়র নেতারা ধারণা করছেন।
বিএনপির সাথে বৈঠক এবং আগামী দিনের রাজনীতি নিয়ে জানতে চাইলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি ড. কর্নেল অলি আহমদ আমার সংবাদকে বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে বলেছে তারা এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন করবে না। আমরা সে বিষয়ে এখন ঐক্যমত হয়েছি। বিপদগ্রস্ত মানবতা রক্ষা করতে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বিএনপি সামনে না আসলে এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নাই। অতীতে আমরা অনেক ভুল করেছি যার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। এবার আমরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই সরকারের পদত্যাগ চাই, এ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। একটা নতুন সরকার আসবে তারা প্রশাসনকে ঠিক করবে। মানুষ যখন প্রস্তুত হবে, প্রশাসন যখন প্রস্তুত হবে, জনগণ নির্ভয়ে তাদের ভোট দিতে পারবে, তখন উৎসবমুখর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থায় যদি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ নির্বাচিত হতে পারবে না। কারণ প্রশাসনের প্রত্যকটি জায়গায় ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রাধান্য। এছাড়াও আজকে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনৈতিক কাজ করা ব্যক্তিকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে কী হচ্ছে তা আপানারা জানেন। সব জায়গায় এখন অনৈতিক কাজ চলছে। এ সবগুলো বিষয়ের একটা সংস্কার আবশ্যক। একটা জাতিকে যদি ধ্বংস করতে হয় তাহলে দুইটা জিনিস ধ্বংস করতে হয়। এক হলো, শিক্ষাব্যবস্থা আরেকটা হলো রাষ্ট্রব্যবস্থা। গ্রাম থেকে শহরে কোনো শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস করাচ্ছেন না। দুই বছর পরীক্ষা হয় নাই। এখন আধা ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়েও পাস করা যাচ্ছে। ১০ বছর পর প্রশাসন চালানোর জন্য কোনো লোক আর পাবেন না। দেশে এখন এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এটি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য একটা নির্বাচনি পরিবেশ আগে তৈরি করা আবশ্যক। মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আগে প্রয়োজন।