নজরুল ইসলাম লিটন, রাজধানীর ভাটারা এলাকার বাসিন্দা। তার জন্মনিবন্ধন সনদে মায়ের নাম ও নিজের নামে ভুল রয়েছে। সে জন্য ১০০ টাকা দিয়ে কম্পিউটার দোকানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করেন তিনি। অনলাইন কপি নিয়ে যান উত্তর সিটির ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে। সেখান থেকে জানানো হয়, যেতে হবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অফিসে। আর ডিএনসিসি থেকে বলা হয়, উত্তরার আঞ্চলিক কার্যালয় অফিসে যেতে। সেখানে গেলে সার্ভার ডাউনের কথা বলে তাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করার কথা বলা হয়। এভাবে বেশ কয়েকদিন ঘোরানোর পর এক দালাল জানান দুই হাজার টাকা দিলেই দ্রুত নাম সংশোধনী করে দেয়া হবে। উপায় না পেয়ে দালালকে দিয়েই নামের সংশোধনী করান তিনি। ভুক্তভোগী লিটন এ প্রতিবেদককে বলেন, আগামী বছর আমার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। মেয়ের জন্মনিবন্ধন সনদে আমার নাম নির্ভুল হলেও আমারটাতে ভুল রয়েছে। দুই জন্মনিবন্ধন সনদ একরকম না হলে তো শিশুকে ভর্তি করাতে পারব না। তাই নাম সংশোধনীর জন্য টানা ১৫ দিনের মতো এখানে সেখানে ঘুরেছি। কোনো উপায় না পেয়ে দালালকেই দিয়ে কাজটি করিয়েছি।
এদিকে একই ভোগান্তির কথা জানালেন রাজধানী বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় জন্মনিবন্ধন-সংক্রান্ত কাজ করাতে হয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কারওয়ান বাজারে অবস্থিত অঞ্চল-১০ কার্যালয়ে। মেয়ের নামের বানান ভুল ছিল। এতে বহু ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কয়েকমাস ঘোরার পর দালালের মাধ্যমে নামের সংশোধনী করিয়েছি। এতে আমার ২৫শ টাকা খরচা হয়েছে। বহু ঘোরাঘুরির পর যখন বুঝতে পারলাম দালাল ছাড়া কাজ হবে না। তখন বাধ্য হয়েই করেছি। তিনি আরও বলেন, নামের বানান সংশোধনীর জন্য প্রথম কাউন্সিলর অফিস। পরে সেখান থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আঞ্চলিক কার্যালয় অফিসে যাই। আঞ্চলিক কার্যালয় অফিস থেকে জানানো হয় অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পরে অনলাইন কপি নিয়ে আসতে হবে। আবেদন কপি নিয়ে যাওয়ার পর বলে সার্ভারে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আরও কত কথা। পরে আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিসে আসা আরও কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম দালালের মাধ্যমে করলে এত ভোগান্তি পোহাতে হয় না। তাই আমিও তাদের মতো দালালের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করি। ধরেন দালাল ছাড়া এ কাজগুলোর সমাধান হয় না প্রতিবেদকে আফসোস করে কথাগুলো বললেন তিনি। শুধু লিটন আর তরিকুলের ক্ষেত্রেই ঘটছে তা নয়; এমন হাজার হাজার নাগরিক জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনী বা জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এটির সমাধানে ঘোরতে হচ্ছে দিনের পর দিন। কখনো পেরিয়ে যাচ্ছ মাসের পর মাস। ফলে সমস্যা সমাধানে দালালের উপর বাধ্য হয়েই ভরসা করছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। পাশাপাশি অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন অফিস বা অন্যান্য ইউনিয়ন অফিসেও দালাল ভরসায় চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ জন্ম-মৃত্যু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে গিয়ে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। পদে পদে জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি, দালালের খপ্পরে সাধারণ মানুষ, জনবল সংকট ও সার্ভার সমস্যার কথাও স্বীকার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাপস। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন ভোগান্তির বিষয়ে মানুষের অসন্তোষ ও ক্ষোভের রোষানলে কিন্তু আমাদের জনপ্রতিনিধিদের পড়তে হয়। কারণ মানুষের যখন কিছু করার থাকে না, কোনো উপায় পান না, তখন কিন্তু তারা জনপ্রতিনিধির কাছে আসেন এবং তাদের সমস্যার কথা জানান। সেই সাথে তাদের অসন্তোষের কথা জানান। তাই জন্মনিবন্ধনকেন্দ্রিক যেসব জটিলতা ও সমস্যা থাকে সেগুলোর কথা কিন্তু আমাদেরকেই প্রথম শুনতে হয়। তখন বুঝি এটি কতটা জটিল। এই ভোগান্তি লাঘবে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদেরকে এই সেবা সহজ করতে কাজ করতে হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও কাউন্সিল অফিস ঘুরাঘুরি জানা যায়, ১৮টি সেবা পেতে হলে জন্মনিবন্ধন এখন বাধ্যতামূলক। তাই কেউ এসেছেন জন্মনিবন্ধন করতে, কেউ নামের সংশোধন করাতে। আবার কেউ কেউ এসেছেন জন্মনিবন্ধনটি অনলাইনে আপডেট করাতে। ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে একটি আঞ্চলিক জোন গঠিত। এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সেবা দিচ্ছে একটি আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারা। বিপুল সেবাগ্রহীতার তুলনায় জনববল সংখ্যা খুবই কম। আর প্রতিদিন যে পরিমাণ লোক আসছে তাতে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। ফলে দুই সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ভুক্তভোগীদের জটলা এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
এমন পরিস্থিতিতে সমস্যাকে পুঁজি করে সক্রিয় রয়েছেন দালালরা। আর সমস্যা সমাধানে সহজ পন্থায় টাকার বিনিময়ে দালালকে দিয়ে জন্মসনদের কাজটি করাচ্ছেন নাগরিকরা। এদিকে দালাল না ধরলে নির্ধারিত ফরমে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করেও দিনের পর দিন ঘোরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। আবার অনেকে মাসের পর মাস ঘোরে বহু ভোগান্তির পর জন্মসনদের সমাধান পাচ্ছেন। তবে দালালে এ কাজ হচ্ছে খুবই দ্রুত। ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ, জন্মসনদ করাতে ফি লাগে মাত্র ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। কিন্তু চিত্র ভিন্ন। কারণ একটি জন্মসনদ পেতে হলে সব মিলিয়ে লাগছে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও এর থেকেও বেশি লাগছে।
কারণ কম্পিউটার দোকানগুলো ও দালাল চক্রের কাছে নাগরিকরা একরকম জিম্মি রয়েছে। অথচ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্মসনদ দেয়ার আগে এনালগ পদ্ধতিতে সহজেই সনদ সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতি হওয়ার পর সাধারণের মানুষের কাছ থেকে নানান কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। যেন পুরো প্রক্রিয়াটি সিন্ডিকেট চক্রের হাতে রয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ জনগণের। এ ছাড়াও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারে যেসকল কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের অধিকাংশই অদক্ষ। জন্মসনদ পেতে, নাম সংশোধনী করাতে বা অনলাইনে আপডেট করাতে সব মিলিয়ে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, দেশে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের কাজটি করছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রার কার্যালয়। মাঠ পর্যায়ে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনগুলো। আর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ১০টি ওয়ার্ড নিয়ে একটি আঞ্চলিক জোন অফিস গঠন করে জন্মনিবন্ধনের কাজটি করছে। এদিকে কখনো কখনো নামের ভুল সংশোধনীর জন্য যেতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের অনুচ্ছেদ-৭ অনুযায়ী, প্রত্যেক শিশুরই জন্মের পর নিবন্ধন করার কথা বলা আছে। আবার দেশের জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ এর অনুচ্ছেদ-৬ এসব শিশুর জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগও বলছে, জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি প্রত্যেক শিশুর মৌলিক অধিকার। কিন্তু এটি করতে গিয়ে নাগরিকদের পোহাতে হচ্ছে বহু ভোগান্তি। এমনকি ঘোরতে হচ্ছে মাসের পর মাস। সর্বোপরি দালাল ভরসায় চলছে এসব কার্যক্রম। আবার আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তারাও বলছেন, সেবাগ্রহীতার তুলনায় কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম। সেবা দিতে প্রস্তুত থাকলেও কাজ করে কুলাতে পারছেন না বলে জানানা তারা।
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা ভুক্তভোগী লিটন বলেন, আগামী বছর আমার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। মেয়ের জন্মসনদে আমার নাম নির্ভুল হলেও আমারটিতে ভুল রয়েছে। আমার জন্মসনদে আমার ও আমার নামে ভুল রয়েছে। আমার নাম হলো নজরুল ইসলাম লিটন কিন্তু লেখা রয়েছে নজরুল ইসলাম। আর মায়ের নাম হলো আছিয়া বেগম কিন্তু লেখা রয়েছে আয়সা বেগম। মেয়ের ও নিজের জন্মসনদ ভিন্ন, এরকম হলে তো শিশুকে ভর্তি করানোতে সমস্যা হতে পারে। তখন ভর্তি করাতে পারব না। তাই নাম সংশোধনীর জন্য টানা ১৫ দিনের মতো এখানে সেখানে ঘোরেছি। আমার এলাকাতেও কয়েকজন বলেছেন দালালকে দিলেই কাজ দ্রুত করা যায়। টাকা গেলেও কাজটি করা সহজ হয়। আমি চাই এই একটি কাজ নিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সরকারের কাছে অনুরোধ এ প্রক্রিয়া সহজ করা হোক। বিদেশ ভ্রমণের জন্য সন্তানদের পাসপোর্ট আবেদন করতে যান রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা জামান মিয়া। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে জন্মনিবন্ধনের সনদটিও জমা দেন তিনি। কিন্তু পাসপোর্ট অফিস থেকে বলা হয়, ছেলে-মেয়ের জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তিনি সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে যোগাযোগ করেন এবং তাকে অনলাইনে আবেদন করতে বলেন। পরে তিনি অনলাইন আবেদন কপি নিয়ে আঞ্চলিক অফিসে গেলে সার্ভার সমস্যার কথা বলা হয়। তাই তিনি বেশ কয়েকদিন আঞ্চলিক অফিসে ঘোরাফেরা করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পরে যে দোকান থেকে তিনি আবেদন করেছিলেন, সেখানে গেলে তাকে সহজ পদ্ধতি অর্থাৎ দালালের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন এবং তাকে দুই হাজার টাকা দিতে বলেন। পরে এ টাকার বিনিময়ে তিনি সনদটি পেয়ে যান। এমন ভোগান্তির কথা আরও কয়েকজন বাসিন্দাও প্রতিবেদকে বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান বাসিন্দা বলেন, আমার ভাগিনার জন্মনিবন্ধন সনদটি বাংলা থেকে ইংরেজি করার দরকার। অর্থাৎ আপডেট করার দরকার। কিন্তু কাউন্সিলর অফিস থেকে আঞ্চলিক অফিস ঘুরে জীবনটা শেষ হয়ে গেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন বা আপডেট করার চেয়ে আবার জন্মগ্রহণ করা ভালো। তিনি দক্ষ জনবলের অভাবকে দায়ী করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা আমার সংবাদকে বলেন, যে পরিমাণ সেবাগ্রহীতা আসেন প্রতিদিন তাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। দক্ষ লোকও সংকট রয়েছে। দালালের বিষয়ে বলেন, কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার মাধ্যমে জন্মসনদের কাজটি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, অভিযোগটির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। পাশাপাশি নাগরিকদের সেবা দিতে আমরা কাজ করছি। তবে জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। তারা কেন দালালদের ওপর ভরসা করছে, তা আমার বোধগম্য নয়। কম্পিউটার দোকানে কেন আবেদন করতে হবে। সেখান থেকেই দোকানদার দালালদের সাথে নাগরিকদের যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছেন। তাই নগরবাসীকে বলব, তারা যেন নিজে নিজে আবেদন করেন। নিজের কাজ নিজে আঞ্চলিক কার্যালয়ে এসে করেন। আমরা তিন সপ্তাহের ভেতর জন্মসনদ পেতে সর্বাত্মক কাজ করছি। তবে এ বিষয়ে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার (যুগ্মসচিব) মো. ওসমান ভুইয়া আমার সংবাদকে বলেন, আপনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না। আপনি অন্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন। পরে কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়ে বলেন, জন্মনিবন্ধন নিয়ে মানুষ নানা সমস্যায় ভুগছে এটি স্বীকার করছি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের সনদ নতুন ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ তা করেনি। যারা এ কাজটি করেননি অথবা কার্যালয়গুলো আপলোড করেননি সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত আগের তথ্যগুলো অনলাইনে আপলোড করার সুযোগ ছিল। এরপর নতুন সার্ভার আসে কিন্তু সেটিতে আর পুরোনো তথ্য আপলোড করার সুযোগ ছিল না। ফলে ২০১১ সালের আগে করা বহু নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে গায়েব হয়ে যায়। এখন আবার নতুন সার্ভারে পুরোনো তথ্য স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। তাই যাদেরটা বাদ পড়েছে তাদের নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করাতে হবে।