বৈশ্বিক মন্দা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং রাজনৈতিক নানা ইস্যু নিয়ে ২০২২ সালে বৃহৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে এ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। আরেকদিকে দলটির জন্য আত্মোপলব্দির বছরও ছিল। কারণ, বিপদে পড়লে স্যুট পরা চকচকে লোকেরা পাশে থাকবে না এবং আগামী নির্বাচন কঠিন হবে— এমন সতর্কবাণী দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ছুড়ে দিয়েছেন দলটির সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। টানা দশমবারের মতো সভাপতির হাল ধরেন সফল ও দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক-রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা, যিনি এ বছর নানা আন্তর্জাতিক খেতাব ও স্বীকৃতি পেয়েছেন, নিজের অবস্থান সুসংহত করে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বনেতাদের পাশে।
মূলত তাকে কেন্দ্র করেই দল ও দলীয় কর্মকাণ্ড অতীতের মতো আবর্তিত হয়েছে। তার সফলতাই দলীয় সফলতা বলে পরিগণিত করা হয়। বিরোধীদের দমন-পীড়নের নানা অভিযোগও এসেছে এ সময়গুলোতে। সুশীল সমাজের একটি অংশ বিরোধী মত দমনে আগ্রাসী হতে নিরুৎসাহিত করেছে বারবার। ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্কাদক হিসেবে টানা তিনবার বহাল থাকাকে বছরের বড় চমক মনে করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা। দেশে করোনা মহামারি ও সড়কে জ্যামের কথা চিন্তা করে ভার্চুয়ালি সভা-সমাবেশের ওপর অনেকটা নির্ভর ছিলেন দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্কাদক। এর মধ্যেও সভাপতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত হয়েছিলেন।
করোনা সংক্রমণকে সাথে নিয়েই ২০২২ সালের নতুন বছরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একইসাথে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব ছিলেন সমান তালে। টানা তিন মেয়াদে সরকারের নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক নানা বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের। কমিটি গঠন, বিলুপ্ত-বহিষ্কার ও ভোটের মাঠে বিদ্রোহীদের সামাল দেয়ার মতো নানা সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন তারা। এ বছর কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয় পেয়ে উজ্জীবিত ছিল আওয়ামী লীগ।
জুনের শেষ দিকে বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা বহমুখী সেতুর উদ্বোধন আওয়ামী লীগকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও সক্ষমতা প্রমাণের রাজনীতিতে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে বলে সমালোচকরা মনে করেন। জেলা-উপজেলায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। বছরের মধ্য সময় থেকে আওয়ামী লীগের শরিকদের সাথে টানাপড়েন তৈরি হয়। এটি প্রশমনের চেষ্টা করেন জোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নির্ধারিত সময়ে দলটি তাদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজন করে গণতান্ত্রিক চরিত্রের ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। অবশ্য কমিটি গঠনে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নতুদের নিয়ে ঝুঁকি নেননি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। নানা সমালোচনা ও নিষ্ক্রিয়তা সত্ত্বেও অনেকে টিকে গেছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বিদায়ী বছরটিতে দলের প্রবীণ কয়েকজন রাজনীতিবিদ না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
এরমধ্যে রয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সংসদ উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরী, ডেপুটি স্কিকার ফজলে রাব্বী মিঞা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা,ডা. এসএ মালেক, অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্মল রঞ্জন গুহ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোসসহ অনেকে। আপরদিকে তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমিকে পদোন্নতি দেয়া হয়।
বছরের শেষদিকে শরিকদের সাথে দ্রব্যমূল্য ও ভারতের বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হয় দলের অভ্যন্তরে। যদিও জোটের সমন্বয়করা এটি প্রশমনের চেষ্টা চালান। কূটনীতিকদের সাথে বছরজুড়ে কৌশলী ছিল ক্ষমতাশীন দলটি। এক্ষেত্রে দলের নীতিনির্ধারকরা এ দেশে কূটনীতিকদের বিচরণ, বন্ধুত্বের ভারসাম্য ও শিষ্টাচারের সীমারেখা মনে করিয়ে দেন। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ কার্যক্রমে অস্বস্তিতে পড়েন তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন ভারত সফরে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করার বিষয়টি আওয়ামী লীগকে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে।
যদিও দলের শীর্ষ নেতারা নানা কৌশলে এর জবাব দিয়েছেন। তবে এতে করে আওয়ামী লীগের ওপর ভারতনির্ভরতার পুরোনো বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে চলে আসে, যা বিরোধী দলগুলোর জন্য সামনের দিনগুলোতে বিতর্ক ও সমালোচনার রসদ জোগাবে বলে অনেকে মনে করেন। বছরজুড়ে ইভিএম নিয়ে বিরোধী পক্ষের সন্দেহ ও উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে গাইবান্ধার উপনির্বাচন।
তবে রংপুর সিটির ভোটে নৌকা হারলেও ইভিএম ব্যবহারে নিরপেক্ষতা স্কষ্ট হয়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকে মনে করছেন। রংপুর সিটি নির্বাচনে দলটির শোচনীয় পরাজয় ও প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত রাজনৈতিক কৌশলগত বিষয়, নাকি ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’-এর বার্তা— বিরোধীরা এমন প্রশ্নে থেমে আছে। ১০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সব সদস্যের পদত্যাগে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি আ.লীগ। নির্বাচন সামনে রেখে বিদায়ী বছরে আওয়ামী লীগে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। করোনার ধাক্কা সামলে বছরজুড়েই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দল গোছানোয় সময় দিয়েছে দলটি। বছরের শেষদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের হুমকি তেমন আমলে নেয়নি, যদিও গুরুত্ব দিয়েই তা মোকাবিলা করার পাশাপাশি সতর্ক থেকেছে আ.লীগ। বছরের শুরুতে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা কমিটির সম্মেলন শুরু করে আওয়ামী লীগ।
দলীয় তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে দলটির সাংগঠনিক ৭৮ জেলার মধ্যে ৩৯টির সম্মেলন হয়েছে; বাকি রয়েছে ৩৯টির। ফলে সাত জেলায় নতুন নেতৃত্ব এসেছে। অন্যদিকে নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়নি ২৪টিতে এবং আংশিক পরিবর্তন হয়েছে আটটিতে। করোনার কারণে গত দুই বছর জেলা, উপজেলা কিংবা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, বর্ধিত সভা ও যৌথ সভা করতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তবে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া চলতি বছর ঢাকা, ফরিদপুর, দিনাজপুর, ভোলা, টাঙ্গাইল, জামালপুর, বরগুনা, কুমিল্লা মহানগর, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, পিরোজপুর, কুমিল্লা দক্ষিণ, জামালপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মাগুরা, নওগাঁ, নাটোর, মেহেরপুর, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া শতাধিক উপজেলা ও বেশ কয়েকটি মহানগরের সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলের এসব সম্মেলন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা।
গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগের সম্মেলন এবং ওই সম্মেলনের ১৪ দিন পর সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্কাদক হিসেবে শেখ ওয়ালী ইনান দায়িত্ব পান।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী এবং সাধারণ সম্কাদক করা হয়েছে শবনম জাহানকে। ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের সম্মেলন। এতে সভাপতি হয়েছেন ডেইজী সারোয়ার এবং সাধারণ সম্কাদক হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্কাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে দীর্ঘদিন পর উন্মুক্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে যশোর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মহাসমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন তিনি। সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনেও উপস্থিত হন তিনি।
এসব সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট চান তিনি। চলতি বছরের ৭ মে ও ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। গণভবনে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে, গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ ডিসেম্বর দলটির জাতীয় কমিটির সভায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার হওয়া কয়েকজনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। বছরের শুরুতে আ.লীগ খানিকটা বিব্রত হয় ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের কর্মকাণ্ডে।
গত ১৭ অক্টোবর সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বছরের শেষদিকে বিএনপি সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ডাক দিলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নড়েচড়ে বসে। ঢাকা জেলা ও দুই মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক সমাবেশে নিজেদের শক্তির জানান দিতে তৎপর হয় দলটি।
সব বিভাগীয় সমাবেশ শেষ হলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির পল্টনের প্রধান সড়কে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিলে আ.লীগও পাল্টা বক্তব্য দিতে থাকে। দলটির রাজনৈতিক কৌশলের কাছে নীরবে পরাস্ত হয় বিএনপি। পল্টনের রাস্তায় সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দিলে সংঘাতের পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পায় রাজনীতি। বছরের শেষদিকে বিএনপির গণমিছিলের বিপরীতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। কাদের সিদ্দিকী হঠাৎ শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করলে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণে আসে বিষয়টি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি আওয়ামী লীগকে হঠাৎ ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফেলে। এতে দল ও সরকারের জনপ্রিয়তায় কিছুটা আঘাত করেছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছে। বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের পদত্যাগ ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয় আরেকটি আলোচনার জন্ম দেয়। কূটনীতিকদের চাপ ও দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ সীমিত করতে আওয়ামী লীগকে বেশ তৎপর দেখা গেছে।
পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চাপ বছরজুড়ে বহাল ছিল দলটির ওপর। বিএনপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে এগিয়ে রয়েছেন দলটির নেতারা। দেশে-বিদেশে অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাফরাফি বিন মুর্তজাকে কেন্দ্রীয় সম্কাদকমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করে দারুণ চমক দিয়েছে আ.লীগ। যদিও দল ও সরকারকে আলাদা করার বিষয়টি ততটা আগায়নি বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকের ধারণা। রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে আওয়ামী লীগ শক্তি সঞ্চার করেছিল ক্ষমতার বাইরে রাজপথ থেকে। বছরের শেষে তার কিছুটা রেশ দেখা গেছে বললে অত্যুক্তি হবে না, এ কারণে মাঠের আওয়ামী লীগকে এখনো শক্তিশালী বলছেন রাজনৈতিক বোদ্ধাদের অনেকেই। তবে দলটির সর্বস্তরে অনুপ্রবেশও ঠেকাতে হবে।