শহীদ আসাদ দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০২:১২ এএম

আজ শহীদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র-জনতার ১১ দফা দাবির মিছিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় গুলি চালায় পুলিশ। সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। তার মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছিল সমগ্র দেশ। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় গণঅভ্যুত্থানের গতি ত্বরান্বিত হয়েছিল।

শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পাকিস্তানি স্বৈর সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। শহীদ আসাদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভিন্ন ভিন্ন বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা জোগাবে।