ছুটির দিনে অফারে মুখর বাণিজ্যমেলা

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ১২:৪৯ এএম

পূর্বাচলে এবার বাণিজ্যমেলা শুরুর প্রথম দুই শুক্রবার ব্যবসা ছিল জমজমাট আর জনসমাগমে উৎসবমুখর পরিবেশ। মেলার তৃতীয় শুক্রবারেও লোক সমাগমও প্রচুর দেখা গেছে। সপ্তাহের মাঝের সময়টাতে কিছুটা বেচা বিক্রি কম হলেও ছুটির দিনগুলোতে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি দেখা গেছে। বছরের প্রথম দিন রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহরে শুরু হয়েছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২১তম দিন গতকাল শনিবার মেলা মাঠে গিয়ে দেখা যায় লোকেলোকারণ্য। সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ লোক সমাগম চোখে পড়ে। সকালে মেলা প্রবেশপথ খুলে দেয়ার আগেই টিকিট কাউন্টারে মানুষের লাইন ছিল চোখের পড়ার মতো। যা বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মেলা প্রাঙ্গণ। ব্যবসায়ীরা জানান, লোক সমাগমের পাশাপাশি বেচা- বিক্রিও বেড়েছে। রাজধানীর বাড্ডা থেকে এসেছে রফিকুল ইসলাম রাতুল।

তিনি আমার সংবাদকে বলেন, যানজট আর কর্মব্যস্ততার কারণে অন্যদিন মেলায় আসা হয় না । ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় এসেছি। কেনাকাটার পাশাপাশি একটু ঘোরাঘুরি করব, খাওয়া-দাওয়া করব। মেলায় এসে ভালো লাগছে।

বিক্রির ব্যাপারে স্টল মালিক এবং প্রতিনিধিরা আমার সংবাদকে জানান, এবারের মেলায় প্রথম দিকে বিক্রির পরিমাণ অনেকটা কম ছিল। এখন অনেক ভালো হচ্ছে। দর্শনার্থী বেশি হলে বিক্রি বেশি হয়, এখন মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। এদিকে মেলায় বিভিন্ন স্টলে নানা রকম উপহার ও ছাড়ে পণ্য বিক্রি চলছে। প্রাণ আরএফএলের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছে প্যাকেজ আকারে। পাশাপাশি প্রতি পণ্যে চলছে ১০ শতাংশ ছাড় মেলার কেন্দ্রবিন্দু তে থাকা আলোচিত পরী পালঙ্ক খাটের মূল্য এক কোটি টাকা দাম চাইলেও এবার কিছুটা টা ছাড় দিয়ে বিক্রি করবে বলে জানান ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুন্নবী। ওয়াল্টনের ফ্রিজ কিনলে দেয়া হচ্ছে হরেক রকম উপহার, ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনলেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রার ছাড় ও উপহার। কাশ্মিরি আচার ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। বিকাশ অ্যাপে কেনাকাটায় ছাড় মিলছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে গৃহস্থালি পণ্যের বিভিন্ন স্টলে দেয়া হচ্ছে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ননস্টিক কড়াইসহ রান্নার নানা উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৩০ টাকায়। জারেও ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে অনেক স্টলে।

গাজীপুর পূবাইল থেকে মেলায় ঘুরতে আসা নুর মোহাম্মদ আমার সংবাদকে জানান, গত ১০ বছর আগে তিনি শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যমেলায় একবার গিয়েছেন এবার পূর্বাচলে শুধু এই পরী খাট দেখার জন্য এসেছেন এবং এর সাথে ছবি তুলতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। মেলায় প্রথম কয়েক দিন বিক্রিতে খরা গেলেও এখন ক্রমেই বিক্রি বাড়ছে। সপ্তাহের অন্যদিন সকাল বেলার দিকে তেমন একটি বিক্রিবাট্টা না হলেও দুপুরের পর থেকেই বিক্রি বেড়ে যায়। আর ছুটির দিন তো সকাল থেকেই শুরু হচ্ছে বিক্রি। এখন পর্যন্ত ক্রোকারিজ পণ্যই বিক্রিতে শীর্ষে আছে বলে জানান বিক্রেতারা।

এরপরই রয়েছে প্লাস্টিক সামগ্রী, পোশাক ও প্রসাধন। এসব স্টলে সবসময় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে। এ ছাড়া বিক্রি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের।