মন্ত্রণালয় ও বেপজায় চিঠি

শ্রমিক সুরক্ষায় গ্রুপবিমা

অর্থনীতি প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০১:৩২ এএম

কল-কারখানার শ্রমিকদের পরিবার ও জীবনের নিশ্চয়তা গ্রুপ বিমার বিধান নিশ্চিত করতে চায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ
কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) কাছে পাঠিয়েছে বিমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইডিআরএ সূত্র।

বেপজার কাছে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ এর ৩৬(১) ধারা অনুসারে সব প্রতিষ্ঠানে গ্রুপবিমা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি

আইডিআরএ চেয়ারম্যান মো. জয়নুল বারী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিগত কয়েক বছরে কতিপয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্ঘটনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু এবং অনেক শ্রমিকের অঙ্গহানীসহ স্বাস্থ্যগতভাবে অক্ষম হওয়ায় শ্রমিক ও তার পরিবার এবং শিল্প মালিকরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। স্বল্প সংখ্যক শিল্প এবং কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বিমা চালু করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার যথাযথ প্রতিফলন হয়নি। এতে শ্রমিকদের স্বার্থ যথাযথভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে না।

সংস্থাটি জানায়, শিল্প ও কল-কারখানায় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় শ্রমিক ও তার পরিবারকে আর্থিক আনতে গ্রুপ বিমা কার্যকর কারখানার মালিকদের আর্থিক দায়ের বেশিরভাগ বিমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেটানো যায়। ফলে কর্মকালীন দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিক- কর্মচারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হবে। এমন প্রেক্ষাপটে সব কল-কারখানায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) - এর ৯৯ ধারা অনুযায়ী গ্রুপ বিমা চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে আইডিআরএ।

অন্যদিকে বেপজার কাছে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ এর ৩৬(১) ধারা অনুসারে সব প্রতিষ্ঠানে গ্রুপ বিমা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, শ্রম আইনের ৯৯ (৩) ধারায় শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প বা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগকারী শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প খাতসহ অন্যান্য খাতে সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিল স্থাপিত হলে সেখানে শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বিমার প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে।

অপরদিকে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইনের ৩৬(১) ধারায় বাধ্যতামূলক গ্রুপ বিমা নিয়ে বলা হয়েছে, যে সব প্রতিষ্ঠানে অন্যূন ২৫ জন স্থায়ী শ্রমিক কর্মরত আছেন, সেখানে মালিক প্রচলিত বিমা আইন অনুযায়ী গ্রুপ বিমা চালু করবেন।