এবার ইউনিয়ন পর্যায়েও মুখোমুখি

সৈয়দ সাইফুল ইসলাম প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৩:০৫ পিএম
  • একইদিন বিএনপির পদযাত্রা, আ.লীগের শান্তিসমাবেশ
  • ৪০ জেলায় অংশ নেবেন আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা

বিএনপি ও তার রাজনৈতিক মিত্ররা রাজপথে বৃহৎ কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করলে ঠিক একইদিন মাঠে সক্রিয় থাকছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে এবং এতে দেশ সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে চলে যাওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, তারা কোনো কাউন্টার কর্মসূচি দিচ্ছে না, তারা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই মাঠে অবস্থান করবে। দলটির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, বিরোধী দলগুলোকে এককভাবে মাঠে ছেড়ে দেয়া হবে রাজনৈতিক ভুল। আর আওয়ামী লীগ এমন ভুল করতে চায় না। দলটির নেতারা বলছেন, তারা বছরজুড়েই মাঠে থাকবেন, রাজপথে থাকবেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বিশেষ বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে শান্তিসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই কর্মসূচি সফল করতে জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সাত্তার ভূঞা, পিতা মুকসুদ আলী ভূঞা, মাতা রহিমা খাতুন, গ্রাম বড়বাড়ী (পরমানন্দপুর), ডাকঘর আরুয়াইল, উপজেলা সরাইল, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া-৪ ও ৫ আসনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম টক অব দি কান্ট্রিতে পরিণত হন। এছাড়া অল্প ভোটের ব্যবধানে বগুড়া-৪ আসন থেকে হেরে নানামুখী আলোচনার জন্ম দেন। গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠান বলে জানানো হয়। এরপর প্রথমে ছয়জন ও পরে একজন স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এর ভিত্তিতে ইসি ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয়। একটি সংরক্ষিত আসন বিধায় সেটির নির্বাচন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবে সংস্থাটি। এদিকে পদত্যাগ করার পর বিএনপি বহিষ্কৃত নেতা আবদুস সাত্তার ভূঞা স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করে ফের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। নতুন করে নির্বাচিতদের মেয়াদ হবে এক বছরের কম। কেননা, আগামী জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।