আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, রোজা আমার জন্য। সুতরাং এর প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’ (বুখারি ১৮৯৪, মুসলিম-১১৫১/১৬৪)
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে রমজানের আগমন। রমজান অন্য মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসের অর্জিত জ্ঞান অন্য সব মাসে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর ও আলোকিত হয়ে ওঠে। আল্লাহর কাছে রমজানের রোজার গুরুত্বও বেশি।
প্রত্যেক নেক আমলের বিভিন্ন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। যা দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি একবারেই স্বতন্ত্র। কারণ, রোজার বহুবিধ প্রতিদান ছাড়াও এ বিষয়ে একটি অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মানুষের প্রত্যেকটি আমলকে বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকি (সওয়াব) ১০ গুণ থেকে (ক্ষেত্র বিশেষে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, রোজা আমার জন্য। সুতরাং এর প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’ (বুখারি ১৮৯৪, মুসলিম-১১৫১/১৬৪)
রোজা ছাড়া অন্য সব আমলের সওয়াব বৃদ্ধির ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তা হলো— ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত। এটি সাধারণ নিয়ম। আল্লাহ তাআলা চাইলে বিশেষ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশিও প্রদান করতে পারেন। তবে সাধারণত সব আমলের সওয়াব এ নীতির মাধ্যমেই নির্ণিত হয়। কিন্তু রোজার বিষয়টি স্বতন্ত্র।
কারণ, এর সওয়াবের নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই; বরং আল্লাহ তাআলা নিজে এর সওয়াব প্রদানের ঘোষণা করেছেন। এর পরিমাণ যে কত হবে, তা একমাত্র তিনিই জানেন। রোজার এত বড় ফজিলতের একটি বাহ্যিক কারণ এও হতে পারে যে, রোজা ধৈর্যের ফলস্বরূপ। আর ধৈর্যধারণকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলার সুসংবাদ হলো— ‘ধৈর্য ধারণকারীরাই অগণিত সওয়াবের অধিকারী হবে।’ (সূরা-যুমার: আয়াত-১০)
সব ইবাদত আল্লাহর জন্য। রোজার বহুবিধ বিশেষত্বের কারণে শুধু একেই মহান রাব্বুল আলামিন নিজের জন্য বিশেষ করে নিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘রোজা তো আমারই জন্য।’ তাই রোজার প্রতিদান তিনি নিজেই দান করবেন। বে-হিসাব দান করবেন বলে তিনি রোজাদারকে সুসংবাদ দান করেছেন। (লাতায়িফ: ১৬৮-১৭০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব রোজাদারকে রমজানের প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।