আমার সংবাদের মুখোমুখি হয়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়— তাহলে দুর্ভিক্ষের কারণে কয়েক কোটি মানুষ বাংলাদেশে মারা যেতে পারে। এই ক্রাইসিসটা আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই শুরু হয়ে যেতে পারে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবদুর রহিম
আমার সংবাদ : চলমান রাজনীতিতে কী হচ্ছে কী হতে পারে?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : আমি মনে করি আমরা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলাম। তার মূল কারণ ছিল ওদের কাছ থেকে আমরা সুবিচার পাচ্ছিলাম না। আমাদের ন্যায্য হিসেবে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। এক কথায় বলতে গেলে, ১৯৭১ সালের আগে যে অবস্থা ছিল এখন তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেলে তার সন্তান, স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে আত্মীয়-স্বজন ও সাধারণ মানুষের উপর স্ট্রিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। জুলুমবাজদের আল্লাহ সাহায্য করেন না। এটি কুরআনের কথা। এ সরকারও সাহায্য পাবে না। আজকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুমের জায়গায় আছে। বিরোধীদলের এক কোটিরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া। নিজ ঘরে ঘুমাতে পারছে না। বনে-জঙ্গলে দিন কাটাচ্ছেন। বিএনপির ৭০০ নেতাকর্মীকে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানকে তার অনুপস্থিতিতে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তার পক্ষ থেকে সাক্ষী কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ তিনি পাননি। সব কিছুর শেষ আছে, এই সরকারও শেষ হবে। তবে তার পরিণতি খুব ভালো না, তার পরিণতি খুবই করুণ হবে। সরকারকে বারবার বলেছি, জনগণের মনের অবস্থা বুঝে প্রস্থানের পথ খুঁজে নিতে। কিন্তু সরকার সেই পথে হাঁটেনি। এ কথা এখন স্পষ্ট, এক টানা ১৫ বছর রাজত্ব করেছে, এবার আর টিকে থাকা সম্ভব নয়। জনগণ সজাগ, এবার তাদের বিদায় নিতেই হবে।’
আমার সংবাদ : নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আন্তর্জাতিক হুমকি রয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে কী হতে পারে?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আমেরিকা ও ইউরোপের ওপর। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মাছ তরিতরকারি ছাড়া আর কিছুতেই সম্পৃক্ত নয়। চীন বাংলাদেশ থেকে কিছুই নেয় না। ভারতও বাংলাদেশ থেকে কিছুই নেয় না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও বাংলাদেশ থেকে কিছুই নেয় না। সুতরাং আমাদের বাংলাদেশের অর্থনীতিটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড ও ইউরোপের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীত অবস্থানে গিয়ে কারো পক্ষে টিকে থাকা, সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এখন সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়, নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে দুর্ভিক্ষের কারণে কয়েক কোটি মানুষ বাংলাদেশে মারা যেতে পারে। এই ক্রাইসিসটা আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই শুরু হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের যে রিজার্ভ রয়েছে তা দুই মাসেরও বেশি যাবে না। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে টাকা আসার কথা এখন তা অনেক ক্ষেত্রেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রপ্তানি-আমদানি গার্মেন্ট সব কিছু হ্রাস পেয়েছে। এখনো প্রায় সাত থেকে ৮০০ গার্মেন্টস বন্ধ। বর্তমানে অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এভাবে একটা সরকার চলতে পারে না। বড় বড় প্রজেক্ট আমরা করেছি, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু গরিব মানুষের রক্ত আমরা বিক্রি করে দিয়েছি। বর্তমানে বলা চলে গরিব মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকারও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমার সংবাদ : সব কিছু উপেক্ষা করে নির্বাচন হলে কী হতে পারে?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : আমি মনে করি,আল্লাহ অবশ্যই মজলুমদের সাথে থাকবেন। সরকারের বিদায় করুণ হবে। এখন আর সহজ বিদায় হবে না। বহু লোক মারা যেতে পারে। বহু ধরনের অঘটন বাংলাদেশে করতে পারে। এখনো দোয়া করি যেন কোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়।
আমার সংবাদ : বিএনপি ছাড়া ভোটে কেমন প্রভাব পড়তে পারে?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : আমরা যারা বিএনপিসহ বিরোধী দলে আছি। আমরা দেশের ৯০ শতাংশ লোকের প্রতিনিধিত্ব করি। সরকারের সঙ্গে রয়েছে তারা যারা বিভিন্নভাবে অবৈধ পথে টাকা আয় করেছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এই সংবাদগুলো আর গোপন নেই। সুইস ব্যাংক , আমেরিকা, কানাডায় কাদের টাকা রয়েছে। দুবাই আমেরিকা থাইল্যান্ডে কাদের সম্পদ রয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশ থেকে লুট করছে— গহর রিজভীর মতো একজন মানুষও লন্ডনে পাঁচ-ছয়টি বাড়ি বানিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গরিব মানুষের রক্ত চুষে তারা বিদেশে বসবাস করছে। এমন পরিস্থিতি বেশি দিন বিরাজ করা ঠিক নয়। সব কিছু শেষ আছে কিন্তু এই সরকারের বিদায় কেমন করুণ ও ভয়াবহ হবে, তার চিন্তাও করা যাবে না। এখন শুধু তার করুণ পরিণতি দেখার অপেক্ষায় আছি।
আমার সংবাদ : দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও আপনার দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগকে যদি মূল্যয়ন করেন?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো রাজনৈতিক দল। এই দল শুরু থেকে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করে না। তারা বিশ্বাস করে একদলীয়, বাকশাল। এই আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেকবার তাদের দলের নাম পরিবর্তন করেছে। প্রথমে ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। তারপর আওয়ামী লীগ। এরপর বাকশাল। আবার আওয়ামী লীগ। এখন আওয়ামী লীগ হলো একদলীয় শাসনের প্রতিষ্ঠাতা। জনগণের তোয়াক্কা তারা করে না। যেভাবেই হোক তারা শুধু এখন ক্ষমতার ক্ষমতা চায়। দেশের জনগণ কি চায় এগুলো নিয়ে এই সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা চায় শুধু রাজত্ব করতে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ছিল প্রধান অস্ত্র। এখন সময় এসেছে আইন মান্য করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা। এই নির্বাচন সবাইকে বর্জন করতে হবে। এর জন্য লাঠিসোটার প্রয়োজন নেই, শুধু ঘরে বসে থাকবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এখন সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হচ্ছে, এটি হচ্ছে— আমি আর আমার ভাই।
আমার সংবাদ : দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে কিছু বলুন?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : বহুদিন থেকে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নেতারা আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করছে। এবারও তারাই ভোটে রয়েছে আর সঙ্গে নতুন কিছু দালাল যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু বিএনপি নেত্রীর খুব কাছের লোক ছিল। যারা বিএনপির নেত্রীকে বিপথগামী করেছে। ওই দালালরা বিদেশিদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে। তারা আজকে নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে। নতুন নামে নিবন্ধন নিয়ে কিংস পার্টি হিসেবে জনগণের সামনে উপস্থিত হয়েছে। হয়তো তারা সংসদ সদস্যও হতে পারে। এখন তো আর নির্বাচন হবে না, এটি হবে সিলেকশন। আসনগুলো আগে ভাগবাটোরা হয়ে যাবে। যাকে যে আসনটা দেয়া হবে সে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এখানে জনগণের কিছু থাকবে না ভোট প্রয়োগেরও প্রয়োজন হবে না। নির্বাচন কমিশন সরকারের একটি আজ্ঞাবহ অঙ্গ সংগঠন। এটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নয়। তাদের দলীয় কিছু পছন্দের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আমার সংবাদ : গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক ভোটের সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে বলে মনে করছেন?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : আমাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধান এটি কুরআন শরিফ নয়। সংবিধান হলো মানুষের বানানো। জনগণের সুবিধার জন্য যেকোনো সময় সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। যা যুগে যুগে হয়ে আসছে। বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে না। এখন যেটি হচ্ছে, সেটি হলো— আসন ভাগাভাগি। কে কোন আসনে সংসদ সদস্য হবে তা ১৭ তারিখে নির্ধারণ হয়ে যাবে। বাকি যেটি হবে, আওয়ামী লীগের মধ্যে ভাই ভাই খেলা। বিএনপি-জামায়াতকে বাদ দিয়ে গুটিকয়েক দালাল নিয়ে যদি ভোট হয় সেটি অংশগ্রহণমূলক হবে না, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে না। জনগণ জাহান্নামে যাক, কষ্টে থাকুক, দুর্ভিক্ষ হোক— এতে সরকারের কিছু আসে-যায় না।
আমার সংবাদ : আপনাদের আন্দোলনে সংসদ ভাঙবে কি-না?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে অনতি বিলম্বের সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন আইন পাস করতে পারে। কারণ এখনো সংসদের মেয়াদ রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সংসদ ডেকে নতুন আইন পাস করে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুযোগ এখনো রয়েছে। দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে এই উদ্যোগ খুব জটিল বিষয় নয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতের আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সারারাত বসে নতুন আইন করেছিলাম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৪ সালে বলেছিলেন দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। আমরাও আজকে সেই কথাটিই বলছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ১৯৯৪ সালে আমরা ২০২৩ সালে, কথা দাবি একই।
আমার সংবাদ : এই নির্বাচনে কোনো লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েছেন কি-না?
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ : আমার কাছে ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিশেষ প্রস্তাব এসেছিল। তিনি আমার কাছে পাঠিয়ে ছিলেন তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর চাচা হাফিজকে। ওই রাতে নেগোসিয়েশন করতে চেয়েছিলেন। বিএনপির ৪০ জন আওয়ামী লীগের ১৪৩ জন নিয়ে সংসদীয় ক্যু করে আমাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে। আর খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। এত বড় প্রস্তাব পেয়ে প্রথম দিকে আমি রাজি থাকলেও আল্লাহর কাছে গিয়ে সেজদায় আমি সাহায্য চাই কী করব...আল্লাহ তুমি আমাকে সুন্দর ও সহজ পথ দেখাও। তখন আমার অন্তরে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে এসেছিল, খালেদা জিয়ার সাথে এ দেশের মানুষের সাথে এত বড় বেঈমানি করা ঠিক হবে না। আমি সাথে সাথে ওই রাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করি বলেছিলাম, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। আপনি আমাকে উপযুক্ত মনে করেছেন যে সম্মানটা দিতে চেয়েছেন, এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এ প্রস্তাব গ্রহণ করে দুনিয়া থেকে কলঙ্ক নিয়ে আমি মৃত্যুবরণ করতে চাই না। এরপর ২০০৯ , ১৪-১৮, ২৩ সালের একাধিক প্রস্তাব এসেছিল। মন্ত্রী হওয়ার একাধিক জায়গা থেকে এমপি হওয়ার নগদ টাকার প্রস্তাব ছিল। আল্লাহর মেহেরবানি ও নবীর দয়ায় আমি সেই লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমি ঈমানদার হিসেবে মরতে চাই। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমার কাছে ছয়টি গ্রুপ এসেছিল। অনুরূপভাবে অতীতের মতো এমপি, মন্ত্রী, নগদ অর্থের প্রস্তাব ছিল। আমি একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই। তাই সব কিছুকে বর্জন করেছি।
উল্লেখ্য : কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম বীরবিক্রম খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধা। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নেন। চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার তিনি অন্যতম সাক্ষী। ১৯৭১ সালে অলি আহমদ কর্মরত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্নেল পদে উন্নীত হয়ে অবসর নেন। রাজনীতিতে বারবার লোভনীয় সুযোগ প্রত্যাহার করে তিনি আলোচিত। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকার্ড হিসেবে রয়েছেন বলেও অনেকের ধারণা।