বিএনপি ছাড়াই সংসদের যাত্রা

আবদুর রহিম প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
  • দ্বাদশ সংসদে বিএনপি ছাড়া জনইস্যুতে যৌক্তিক বিতর্ক সংসদীয় সৌন্দর্য প্রাণবন্ত হওয়া নিয়ে আশঙ্কা 
  • বিএনপির পদত্যাগে একাদশের শেষ সময়ে জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিস ও মুলতবি প্রস্তাব ছিল প্রায় উপেক্ষিত
  • প্রথম অধিবেশনের দিনে আজ বিএনপি-জামায়াতসহ ভোট বর্জন করা ৬৩ রাজনৈতিক দলের সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি 

গতকাল ২৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু হবে নতুন সংসদের। রাজপথে সক্রিয় বিএনপিকে ছাড়া দ্বাদশ সংসদ প্রাণবন্ত হবে কিনা সংশ্লিষ্টরা এখনই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। একাদশ সংসদে ভরাডুবির পরও ছয়জন সংসদ সদস্য নিয়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি সংসদে যায়। রাজনীতি ও সংসদ সচিবালয়ের সূত্রগুলো বলছে, ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। এক বছর পূর্বেই ১০ রয়েছে স্বতন্ত্র এমপিদের। দ্বাদশ সংসদে এবারও স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার পদে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করা হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি। এরপর নতুন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন সদস্যরা। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রপতির ভাষণ ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রেসসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তার বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে।’

সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে। এছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারি দলের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বসবেন।

এছাড়া স্পিকারের বিপরীত দিকে সামনের সারিতে বসবেন বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বসবেন বিরোধীদলের নেতার আসনের পেছনের আসনে। এটাই হচ্ছে সংসদের আসন বিন্যাসের রেওয়াজ। বিরোধীদলের নেতার আসনে বসবেন জি এম কাদের। পরের আসনটিতে বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বসবেন বিরোধীদলীয় নেতার আসনের পেছনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে।

জানা গেছে, বিরোধী দলের প্রথম সারির উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তারপরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্বতন্ত্র এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচন হওয়া ২৯৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ২২৩টি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। যেখানে স্বতন্ত্ররা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্রদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।