পোশাক রপ্তানির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কৃষিপণ্য রপ্তানিও। এমনকি কয়েক মাস ধরে কৃষিপণ্য লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) চেয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি ৬.১২ শতাংশ বেড়েছে। আর রপ্তানি বাড়ায় ছাড়িয়ে গেছে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬ কোটি ২৮ লাখ ডলারের। বিপরীতে প্রথম ১০ মাসে ৭৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। সে হিসাবে গত ১০ মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি হয়েছে।
আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৭২ কোটি আট লাখ ডলারের কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছিল। সে হিসাবে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে চার কোটি ৬৯ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দুই কোটি শূন্য ৬ লাখ ডলারের চা পাতা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে দুই কোটি ৯৮ লাখ ডলারের চা পাতা। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে চা পাতা রপ্তানি হয়েছিল এক কোটি ৭৬ লাখ ডলারের।
তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পাঁচ কোটি ১১ লাখ ডলারের সবজি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে আট কোটি ৯৭ লাখ ডলারের সবিজ। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৮ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সবজি রপ্তানি হয়েছিল পাঁচ কোটি দশমিক শূন্য ৭ লাখ ডলারের।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে শূন্য দশমিক ৯০ লাখ ডলারের ফল জাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ৯৩ লাখ ডলারের ফল জাতীয় পণ্য। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ফল রপ্তানি হয়েছিল শূন্য দশমিক ৯৭ লাখ ডলারের। আর তামাকজাতীয় পণ্য গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে রপ্তানি কম হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ১৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের তামাক জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তামাকজাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের। এছাড়া মসলাজাতীয় পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন কোটি ৬৪ লাখ ডলারের। আর ১০ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে চার কোটি ৭০ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ১৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে মসলাজাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছিল তিন কোটি দশমিক শূন্য ৫ লাখ ডলারের।
এদিকে তৈল বীজ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি ৯২ লাখ ডলারের। আর ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ ডলারের। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে তৈলবীজ পণ্য রপ্তানি হয়েছিল এক কোটি ৫০ লাখ ডলারের।
অপরদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পান রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি ৫১ লাখ ডলারের। আর ১০ মাসে পান রপ্তানি হয়েছে এক কোটি ৮৩ লাখ ডলারের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ৭২ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে পান রপ্তানি হয়েছিল এক কোটি ৩৭ লাখ ডলারের। ইপিবিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে শুকনা খাবার জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের। উদ্ভিদ চর্বি জাতীয় পণ্য ও তৈল রপ্তানি হয়েছে সাত কোটি ১৫ লাখ ডলারের। চিনি জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ ডলারের। পানীয় ও ভিনেগার জাতীয় পণ্য রপ্তানি হয়েছে দুই কোটি ৫৫ লাখ ডলারের।