তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব চলছে। আজ সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মুনাজাত। আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন শুরায়ি নেজাম অনুসারী মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
গতকাল শনিবার মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এবার বিশ্ব ইজতেমার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা এবং অংশগ্রহণ করবেন শুরায়ি নেজাম (মাওলানা জুবায়ের) অনুসারী মুসল্লিরা। আজ সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আগামীকাল সোমবার বাদ মাগরিব আম বয়ানে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ি নেজাম অনুসারীদের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা।
এদিকে এবারের ইজতেমায় গতকাল পর্যন্ত দুই দিনে চার মুসল্লি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই দিনে ওই চার মুসল্লির মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামনগরের ৩ নম্বর তেগরিয়া এলাকার বাসিন্দা রমিজ আলী (৬০), একই জেলার বাহুবল থানার রাগবপুর এলাকার বাসিন্দা ইয়াকুব আলী (৬০), শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার ৩ নম্বর রাণী শিমুল এলাকার বাসিন্দা ছাবেত আলী (৭০) ও খুলনার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০)।
শুরায়ি নেজাম (মাওলানা জুবায়ের) অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, নিহত ওই চারজন তাবলিগ জামাতের সাথীদের সঙ্গে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন। গতকাল বিকেলে রমিজ আলী এবং ভোররাতে ইয়াকুব আলী মারা যান। এর আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ আসর ইজতেমা ময়দানে ৪৬ নম্বর খিত্তায় অবস্থানকালে ছাবেত আলী ও বেলা ১১টার দিকে আব্দুল কুদ্দুস গাজী বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। নিহত চারজন তাবলিগ জামাতের সাথী ছিলেন।
তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যৌতুকবিহীন ৬৩টি বিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে। গতকাল বাদ আসর ভারতের মাওলানা যোহাইরুল হাসান এসব বিয়ে পড়ান। বিয়ে সম্পূর্ণ হওয়ার পর তিনি সবার জন্য দোয়া করেন।
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হয়। পরে ইজতেমা ময়দানে ৬৩টি যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ানো হয়েছে। এ সময় নবদম্পতিদের জন্য দোয়া করা হয়। বিয়ে পড়ানোর সময় এসব দম্পতিদের আত্মীয়-স্বজন এবং পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।