২০১৫ সালে রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় বাস পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ৮ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি পৃথকভাবে এসব রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছিলেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, কায়সার কামাল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, শেখ মোহাম্মদ আলী, মো.জাকির হোসেন ভূঁইয়া, কাজী আক্তার হোসেন, রাগীব রউফ চৌধুরী, এ আর রায়হান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান আসাদ, মো. ফরহাদ হোসেন, সাবিবর হামজা চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল আজিজ, খন্দকার মারুফ হোসেন, মো.আক্তার রসুল, মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. রোকনুজ্জামান, মো. জসিম উদ্দিন, মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ, শাহরিয়ার মাহমুদ, জিএম নজরুল ইসলাম, রেজাউল করিম, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মীর আব্দুল হালিম, মো. জাবেদ হোসেন, মো. শহীদুজ্জামান, মো. মাহমুদুল আরেফিন, মাকসুদ উল্লাহ, কে আর খান পাঠান, এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী, খান মো. মইনুল হাসান, তামান্না খানম আইরিন, এম সাব্বির আহমেদ, মানবেন্দ্র রায় মন্ডল, তারিকুল ইসলাম, এম মাহবুবুর রহমান খান, মো. আজমল হোসেন, শাহজাদী কহিনুর, মিনারা খাতুন, জাকিয়া আনার কলি ও আনজুমান আরা মুন্নী।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াস উদ্দিন গাজী, শামীমা আক্তার বানু, লাবণী আক্তার ও কাজী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
এ আট মামলার মধ্যে বাস পোড়ানোর অভিযোগে দারুস সালাম থানায় ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ১ মার্চ, ৩ মার্চ এবং যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪ জানুয়ারি, ২৩ জানুয়ারি ও ২৪ জানুয়ারি এসব মামলা দায়ের করা হয়। পরে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় ২০১৭ সালে পৃথকভাবে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের অক্টোবরে রুল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আদালত ওই সব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো- মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা এসব মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।