ভয়াবহ এ আগুনে সর্বস্বান্ত হয়ে যান ব্যবসায়ীরা
পুড়ে ছাই ২৪ গাড়ি ২০টি দোকান
অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকার একটি গ্যারেজপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় ১৭ থেকে ১৮টি গ্যারেজ। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্যারেজ মালিক সমিতি। একই সঙ্গে বন্ধের দিনে গ্যারেজে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। খিলগাঁওয়ের গ্যারেজপট্টি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আকস্মিক এমন ঘটনায় রাস্তায় বসে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি স’মিল থেকে সৃষ্ট আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের গ্যারেজপট্টিতে। এতে একে এক পুড়ে যায় ২০টি দোকান, ২৪টি গাড়ি ও দুটি স’মিল। ভয়াবহ এ আগুনে সর্বস্বান্ত হয়ে যান ব্যবসায়ীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যারেজপট্টিতে ২০টির মতো দোকান ছিল। অনেক দোকানে গাড়ি রিপেয়ারিং করা হতো। কিছু দোকানে রিপেয়ারিংয়ে ব্যবহূত যন্ত্রাংশ বিক্রি হতো। কিন্তু গতকালের আগুনে সব দোকান পুড়ে গেছে। গ্যারেজপট্টিতে পোড়া ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছু নেই। ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গ্যারেজে রিপেয়ারিংয়ের জন্য আসা প্রায় ২৪টি গাড়ি পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া এসব গাড়ি আর কোনোভাবে ঠিক করা যাবে না। এগুলো ছাইয়ে রূপ নিয়েছে।
এদিকে গতকাল শনিবার সকালে খিলগাঁওয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গ্যারেজপট্টি এখন ধ্বংসস্তূপ। সবকিছু হারিয়ে ব্যবসায়ীরা আহাজারি করছেন। চারদিকে পরে রয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র। সারিবদ্ধভাবে পুড়ে ছাই হয়ে রয়েছে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল। প্রতিটি দোকান ও আসবাবপত্র এবং গাড়ির বিভিন্ন পার্টস পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সাজানো গোছানো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এই অবস্থা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছেন না দোকান মালিকরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, তারা কখনো চিন্তাও করতে পারেননি তাদের এই অবস্থা হবে আগুনে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার এই গ্যারেজপট্টি বন্ধ ছিল। এখানে কোনো দোকান মালিক বা কর্মচারী ছিল না। ফলে আগুন কখন লেগেছে কেউ বলতে পারেন না। খবর পেয়ে মালিক কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে খিলগাঁও, শাজাহানপুর, সবুজবাগ, মুগদা এবং রামপুরা অঞ্চলের বাংলাদেশ অটোমোবাইল মালিক সমিতির সভাপতি ও মাসুম অটো ওয়ার্কশপের মালিক মো. মাসুম বলেন, ‘ছয় মাস আগে থেকে আমাদের পিকনিকের একটা পরিকল্পনা করা হয়। প্রায় তিন মাস আগে থেকে চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে সব আয়োজন চলে। এরপর এই মার্কেটের এবং সারা দেশের যত ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি আছে, শুক্রবার আমরা সবাই পিকনিকে ছিলাম। কেউই এখানে ছিলেন না। কেউ কাজ করেননি, প্রতিটি ওয়ার্কশপ বন্ধ ছিল। আমরা সকালে এখান থেকেই গাড়ি নিয়ে পিকনিকে চলে গেছি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা খবর পাই গ্যারেজে আগুন লাগছে। পরে সবাই সেখান থেকে দ্রুত যে যার মতো চলে এসেছি। এসে দেখি সব পুড়ে ছাই, কিছুই পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ২০ বছর যাবৎ এখানে ব্যবসা করছি। বিভিন্ন সময়ে আমাদের মার্কেট বন্ধ থাকে। কিন্তু তখন কেউ না কেউ এখানে থাকতেন। কোনো দিন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু কালকে কেউ ছিলেন না, তখন আগুন লাগলো।’
মো. মাসুম বলেন, ‘এক সাইডে প্রথমে আগুন লাগে। কিন্তু সেই আগুন এক সাইড থেকে ঘুরে ঘুরে আরেক সাইড পর্যন্ত এল (এল শেপ)-এর মতো হয়ে গেলো, এটা আমাদের কাছে আশ্চর্যজনক লাগছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে পুড়ে সব ছাই হয়ে গেছে। আমাদের কাছে মনে হয় আগুন লাগলেও এভাবে লাগার কথা না। আমাদের মালামাল পুড়েছে, ক্ষতি হয়েছে, সন্দেহ তো আমাদের হবেই।’
গ্যারেজপট্টির ব্যবসায়ী মুন্না মিয়া বলেন, শুক্রবার গ্যারেজ মালিক সমিতির একটি পিকনিক ছিল। ঢাকাসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ গ্যারেজ সেই পিকনিকের কারণে বন্ধ ছিল। এছাড়া শুক্রবার ও একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে কর্মচারীরা ছুটিতে ছিলেন। মাত্র দুজন দারোয়ান ছিল গ্যারেজে। আমরা আগুনের খবর পেয়ে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে গেছে। আগুনে প্রায় ১৭টি প্রাইভেটকার এবং সাতটি মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গ্যারেজেপট্টির আরেক দোকান মালিক বলেন, আমার দোকানে ছয়টি প্রাইভেটকার ছিল রিপেয়ারিং করার জন্য। এর মধ্যে অধিকাংশ গাড়ি রিপেয়ারিংয়ের কাজ শেষ ছিল। আজকে বেশ কয়েকটি গাড়ি ডেলিভারি দেয়ার কথাও ছিল। কিন্তু গতকালের আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গাড়ির ভেতরে যেসব কাগজপত্র ছিল সেগুলো সব পুড়ে গেছে। এছাড়া আমার দোকানে যত মালামাল ছিল সব পুড়ে ছাই। বর্তমানে পরিস্থিতি কীভাবে আমরা সামাল দেব বুঝতে পারছি না। এখানে যাদের দোকান ছিল সবার পরিস্থিতি একই।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স’মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তখন আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। প্রথমে গ্যারেজের এক কোণে আগুন লাগে। পরে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
মো. মুন্না নামের আরেক গ্যারেজ মালিক বলেন, ‘বাংলাদেশের যত গ্যারেজ মালিক আছেন, গতকাল আমাদের বার্ষিক একটা পিকনিক ছিল। সারাদেশ থেকে গ্যারেজ মালিকরা গাজীপুর পিকনিকে এসেছিলেন। শুক্রবার বন্ধের দিন, আবার একুশে ফেব্রুয়ারির বন্ধ, পাশাপাশি আমাদের পিকনিক ছিল। এই কারণে সব মালিক গাজীপুরে ছিলেন। আমরা যখন খবর পাই তখন সঙ্গে সঙ্গে ওখান থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে আসি। এসে দেখে আমাদের সব শেষ।’
তিনি বলেন, ‘ফিরে এসে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, আগুনটা লেগেছিল এক কর্নারে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটা ইউনিট এসে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিল। কিন্তু পরে আবার এইভাবে আগুন জ্বলে উঠবে সেটা কেউ বুঝতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে যে দুইটা ইউনিটে এসেছিল তাদের কাছে পানিও শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে আরও অনেকগুলো ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে করতে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।’
মুন্না বলেন, ‘আমাদের গ্যারেজে পাঁচটি গাড়ি ছিল। একটা প্যারাডো গাড়ি, দুইটা এক্স করলা, একটা নোয়া গাড়ি এবং একটা পিকআপ ছিল। এখানে সবগুলো গ্যারেজ মিলিয়ে যতগুলো গাড়ি ছিল এবং যতগুলো যন্ত্রাংশ ছিল তাতে আমাদের ধারণা মোট ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার গ্যারেজেই দুই কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই গাড়িগুলো মূলত আমাদের না। এগুলো আমাদের কাস্টমারের গাড়ি। আমরা সার্ভিসিংয়ের জন্য এখানে এনেছিলাম। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল, যত মালপত্র ছিল সবই তো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যাদের গাড়ি সার্ভিসিংয়ের জন্য এনেছিলাম, তাদের কী জবাব দেব?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। আমরা অনেক কিছু ধারণা করতে পারি। কিন্তু এই দায়িত্ব প্রশাসনের। তাদের উচিত তদন্ত করে বের করা আগুনটা কীভাবে লেগেছে। আমার ক্ষতি হয়েছে, আমি সে কারণে দোষ দিতে পারি। এখন বাকিটা প্রশাসনের দায়িত্ব। যেহেতু ছয় মাস আগে থেকেই সবাই জানে যে এই দিন মালিকরা কেউ থাকবেন না। পরিকল্পিত একটা পিকনিক ছিল। সেহেতু আমাদের একটা সন্দেহ থাকতেই পারে, এখন প্রশাসনের দায়িত্ব তদন্ত করে আগুনের কারণ খুঁজে বের করা।’
মতিঝিল আঞ্চলিক থানা বাংলাদেশ অটোমোবাইল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি যে কোথা থেকে আগুনের ঘটনাটা ঘটছে। আমরা যা দেখলাম, এই ওয়ার্কশপ পল্লী যেভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, সবগুলো গ্যারেজ মিলিয়ে প্রায় ১৭টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। এরপর প্রত্যেকটা ওয়ার্কশপে যেসব যন্ত্রপাতি ছিল, কিছু রি-কন্ডিশন ইঞ্জিনও কেনা ছিল, সব পুড়ে গেছে। ওয়ার্কশপ মালিকরা সবাই পথে বসে গেছেন। প্রত্যেকটা গ্যারেজের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার রিকন্ডিশন স্পেয়ার পার্টস কেনা থাকে। সেগুলোও সব শেষ। ওয়ার্কশপ মালিকরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকার যদি এই অসহায় মানুষগুলোর দিকে না তাকায় তাহলে তারা জীবনেও উঠে দাঁড়াতে পারবে না।’
এদিকে নিজের গ্যারেজে রংমিস্ত্রি না থাকায় কাস্টমারের গাড়ি নিয়ে নিজ দায়িত্বে পুড়ে যাওয়া একটি গ্যারেজে রঙের কাজ করাতে রেখে গিয়েছিলেন মায়ের দোয়া অটোমোবাইল গ্যারেজের মালিক হাবিব। তিনি বলেন, ‘আমার গ্যারেজ অন্যদিকে। আমার গ্যারেজে রংমিস্ত্রি না থাকায় এখানে গাড়িটা রং করার জন্য রেখে গিয়েছিলাম। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডেলিভারি দেয়ার কথা ছিল। আগুনে পুরো গাড়িটাই শেষ।’
গাড়ির মালিক কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাড়ির মালিক তো অনেক কিছুই বলবে। কিন্তু তারও তো আমাদের বিষয়টা বোঝা লাগবে। সবার যা হবে এই গাড়ির মালিকের তাই হবে। এখন পুরো গাড়ির ক্ষতিপূরণ চাইলে সেটা কি আমি দিতে পারব? এই গাড়িটার কাজ করে আমার সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা না হয় লাভ হতো। গাড়ির দাম ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা। এত টাকা কি দেয়া সম্ভব?’
নিউ টেকনিক অটোমোবাইলসের মালিক আলম বলেন, ‘আমাদের তো অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি, আমাদের আর কিছুই নেই। আমাদের ওয়ার্কশপ নেই, গাড়ি নেই। কাস্টমারের গাড়ি নেই। এখানে কিছু ডিলারদের গাড়ি ছিল, যারা গাড়ির ব্যবসা করেন, তাদের গাড়িগুলোও নেই। সব শেষ আমাদের। এই আগুনে আমারই ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ আরও জানা যায়, গাড়ি মেরামতের কাজে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় এগুলো খুবই দাহ্য পদার্থ। ?এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গ্যাস সিলিন্ডার থাকে। এই কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে আগুনের সঠিক কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে পুলিশও। পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে এই ঘটনায় তারা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। তবে কি কারণে আগুনের সূত্রপাত ও এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন বলেন, যেহেতু আগুনে কেউ হতাহত হয়নি সেহেতু আপাতত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে এই ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। আগুনের কারণ জানতে ও এখানে বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে আমরা তদন্ত করে চলছি।
অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনের সূত্রপাত কীসের থেকে সে বিষয়ে তদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাবে না। এটি নাশকতাও হতে পারে। আবার শর্ট সার্কিট অথবা সিগারেটের আগুনের থেকেও এ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর গতকাল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়েছে। আগুনে হয়ত কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছিল যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের ১০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তালতলা মার্কেটের পাশে একটি স’মিলে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের গ্যারেজপট্টিতেও। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।