জুন ২১, ২০২২, ০৮:৫৩ পিএম
নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের সকল ধরণের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা মঙ্গলবার (২১ জুন) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত ৩য় কমনওয়েলথ উইমেন্স ফোরামের দ্বিতীয় দিনে ‘এনগেজিং মেন এন্ড বয়েজ: এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইমেন এন্ড গার্লস’ সেশনে আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরিবার থেকেই সসিংসতার ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ সরকার জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এলক্ষে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বিচার ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল ব্যবস্থায় নারীদের নিরাপত্তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ করা হয়েছে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্ভর করে সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধের উপর। আমরা রাতারাতি সামাজিক অবস্থা বদলে ফেলতে পারিনা তবে ধীরে ধীরে তা পরিবর্তন করতে পারব। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সাথে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যম সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। তবেই সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরণের নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব। এ লক্ষে কমনওয়েলথভুক্ত ও অন্যান্য দেশ একসাথে কাজ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেছেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, সেল ও ট্রমা হেল্প সেন্টারকে উত্তম চর্চা হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অনুসরণ করছে। আট হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে সহিংসতা, বাল্য বিয়ে ও যৌতুক রোধ বিষয়ে কিশোর-কিশোরীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
‘এনগেজিং মেন এন্ড বয়েজ: এন্ডিং ভায়োলেন্স এগেইনিস্ট উইমেন এন্ড গার্লস’ সেশনে আরো বক্তা হিসেবে ছিল ক্যামেরূনের সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আওয়া ফ্রান্সিকা আম্বুলি (Ms. Awah Francisca Mbuli), ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন আফ্রিকার পরিচালক টোইন ওজোরা সারাকি ( Toyin Ojora Saraki), সিচেলিসের যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রী সেলিন জিয়ালর ( Celine Zialor), দক্ষিণ আফ্রিকার বাফানা কুমালাও ( Mr. Bafana Khumalo) ও কানাডার হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের পরিচালক সেনেহ ওরা ( Ms Sneh Aurora) সহ কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
বিএইচ/ইএফ