আগস্ট ১, ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম
বাবা মারা গেছেন দুই বছর আগে। বাবার মৃত্যুর পর মা অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন। দুই ছেলে মাকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। তবে তারা মাকে বাকিটা জীবন ভালো রাখতে চান। তাই মায়ের সম্মতি নিয়ে তার জন্য পাত্র খুঁজছেন তারা।
সব প্রথা ভেঙে নিজের মায়ের বিয়ের উদ্যোগ নিলেন ঢাকার কেরাণীগঞ্জের মোহাম্মদ অপূর্ব নামে এক সন্তান। সম্প্রতি ফেসবুকের ম্যাট্রিমোনিয়াল গ্রুপে মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপনের একটি পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছে।
পোস্টটি দিয়ে অপূর্ব জানান, তার মায়ের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাই বাবা মারা যাওয়ার পরে তিনি চিন্তা করেন এমনটি। তারপর মায়ের সঙ্গে আলাপ করেই ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিয়েছেন।
অপূর্বরা দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে লিখেছেন, ‘বাবা মারা গেছে তাই আম্মুর জন্য পাত্র খুজছি। আম্মুর সাথে মানানসই পাত্র খুজছি। অবশ্যই ঢাকার আশে পাশে হলে ভালো।
ব্যবসায়ী বা জব হোল্ডার, শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হলেও সমস্যা নেই। নামাজি হতে হবে মাস্ট। মানে একদম সাদামাটা একজন যে আম্মুর জীবনের বাকি চলার পথগুলোর সংগী হবে। ৪২-৫০ বয়স হলে ভালো হয়। মায়ের নাম ডলি আক্তার। বয়স ৪২। ’
এ ছাড়াও আরো বিবরণ যুক্ত করেছেন অপূর্ব। অপূর্ব নিজে জি অ্যান্ড জি নামের একটি অনলাইন পোশাক বিক্রয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
অপূর্ব বলেন, ‘আমরা দুই ভাই। মাকে সময় দিতে পারি না। বড় ভাইয়ের সংসার আছে। আমিও ভবিষ্যতে বিয়ে করব। তখন মা আরো একা হয়ে যাবেন। তাই আমরা সবাই চাচ্ছি, মায়ের একটা সুন্দর জীবন হোক। তার একজন ভালো জীবনসঙ্গী প্রয়োজন। ’
অপূর্বর মা ডলি আক্তারও এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে বিয়ে করেছে। ছোট ছেলে বিয়ে করেনি। আমিও অনুভব করলাম একজন জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন। ’
অপূর্ব বিবাহের গ্রুপে যে পোস্ট দিয়েছেন সেখানে উল্লেখ করেই দিয়েছেন বিয়ে পারিবারিকভাবেই হবে। অপূর্বর এই পোস্টের নিচে শত শত মন্তব্য। যার অধিকাংশই ইতিবাচক। অপূর্বকে বাহবা জানিয়েই মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা।
ব্যবসায়ী মো. ইয়াদ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় অপূর্বর মা ডলি আক্তারের। ২০১৯ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মো. ইয়াদ। তাদের দুই সন্তান, বড় ছেলে ইমরান হোসেন বিবাহিত আর ছোট ছেলে মোহাম্মদ অপূর্ব অনলাইন ব্যবসা করেন।
আমারসংবাদ/টিএইচ