Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫,

সেই মাদক বিজ্ঞানী সাঈদ কারাগারে

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ৭, ২০২২, ০৯:২৬ পিএম


সেই মাদক বিজ্ঞানী সাঈদ কারাগারে

মাদক নিয়ে গবেষণা করা ওনাইসী সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মাদক মামলায় গত ৩ আগস্ট সাইদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোহাম্মদ মামুন মিয়া।

আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাছাড়া এদিন রেয়ার সাঈদকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আববকর ছিদ্দিক গ্রেফতার দেখানোর সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিএমএম আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।

গত ১ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‌‘মাদক গবেষক’ সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার গুলশানের বাসা থেকে ১০১ গ্রাম কুশ, ৬ গ্রাম হেম্প, ০.০৫ গ্রাম মলি, ১ গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩ পিস এক্সট্যাসি, ২৮ পিস এডারল ট্যাবলেট জব্দ করে র‌্যাব। পাওয়া যায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও অন্তত ৫০ লাখ টাকার মার্কিন ডলার।

সাইদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তার মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাটেও অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে তাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্টের মাধ্যমে বিদেশি প্রজাতির কুশ তৈরির প্ল্যান্ট ও সেটআপ জব্দ করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে প্ল্যান্টটি স্থাপন করেছিলেন তিনি।

২ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সাঈদ দেশের একটি স্বনামধন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) করতে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। পরবর্তীতে মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) করেন মালয়েশিয়ায়। দেশে ফিরে প্রথমে বাবার টেক্সটাইল ব্যবসা দেখাশোনা করেন। বিদেশে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে পরিচিত হন সাইদ। বাবার ব্যবসায়ের পাশাপাশি দেশে নতুন ধরণের মাদকের প্রচলন ও বাজার সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে নানা ধরনের মাদক নিয়ে আসতেন তিনি। এসব মাদক তিনি সাপ্লাই করতেন দেশের বিভিন্ন অভিজাত পার্টিতে। সাইদ নিজে শুধু ধূমপান ও মদে আসক্ত। কিন্তু গবেষণা করতেন বিভিন্ন নতুন প্রজাতির মাদক নিয়ে। নিজের বাসায় মাদক উৎপাদনের প্ল্যান্ট তৈরি করেন। তার ইচ্ছা ছিল নিত্যনতুন মাদক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। হতে চেয়েছিলেন মাদক বিজ্ঞানী।

এবি

Link copied!