আগস্ট ৭, ২০২২, ১১:৪৫ পিএম
জ্বালানি তেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাম সংগঠনগুলো। রোববার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি- সংগঠনের কর্মীরাই উল্টো পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন গুলোর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে বাম সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শাহবাগ ও কাঁটাবন মোড় ঘুরে ফের শাহবাগ মোড়ে ফিরে এসে মোড়ের মূল সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পুলিশ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হঠাৎ লাঠিচার্জ শুরু করে। সমাবেশে অংশ নেওয়া ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অনিক রায় বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হামলা করে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশের বাঁধার মুখে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে সমাবেশ করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সংগঠনসমূহের কর্মীদের। তখনই রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ ও মারধর করা হয়।
পুলিশের জানায়, হামলায় রমনা থানার এসি বায়োজিদ এবং শাহবাগ থানার এসআই রাশেদ আহত হয়েছেন।
এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ইএফ