আগস্ট ১৮, ২০২২, ০২:৪৩ পিএম
রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেট কারের ওপর নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেনটি চালাচ্ছিলেন চালকের সহকারী রাকিব হোসেন এবং বাইরে থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন ক্রেনের মূল অপারেটর আল আমিন।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন জানান, ক্রেনের মূল অপারেটর ছিলেন আল আমিন। তার হালকা গাড়ি চালানোর অনুমোদন থাকলেও ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই।
২০১৬ সালে ক্রেন চালনার প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ২-৩টি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করেন। গত মে মাসে তিনি বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন।
গ্রেপ্তার রাকিবও ৩ মাস আগে বিআরটি প্রকল্পে ক্রেন-হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার ক্রেন চালনায় কোনো ধরণের প্রশিক্ষণ নেই। দুর্ঘটনার দিন আল আমিন ও রাকিব দুপুরে ক্রেন চালানো শুরু করেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন। তারা একটি বৌভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন।
গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝরণা (২৮), ফাহিমা, জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি বেঁচে যান।
নিহত ফাহিমা হলেন, নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝরণা হলেন তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝরণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝরণার সন্তান। ফাহিমা-ঝরণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।
ঘটনার দিন রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণার ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আমারসংবাদ/ টিএইচ