সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২, ০৭:৪৩ পিএম
মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েনের কথা এখনই ভাবছে না সরকার। আপাতত সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব এবং দেশের এজেন্সিগুলোকে নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আমরা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদলিপি দিয়েছি।
সীমান্তে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না হয় এবং আমরা এটাও বলেছি, এটা আপনাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা কিভাবে সমাধান করবেন, সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে।
কিন্তু মিয়ানমারের গোলা যেন আমাদের ভূখণ্ডে না আসে। সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না, তাদের।
খুরশেদ আলম বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে সাগর বা অন্য কোনো জায়গা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে ফের তলব করে সীমান্তের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অণু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমুল হুদার দপ্তরে তলব করা হয়।
এর আগে গত ২০, ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়ে।
সে কারণে গত ২১, ২৯ আগস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে চারবার সীমান্তের ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলো।
টিএইচ