Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন

ভোট বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আ.লীগ প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ১২, ২০২২, ০৮:৪৬ পিএম


ভোট বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আ.লীগ প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা তিনটায় ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এ সময় তারা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসানের কর্মী-সমর্থকেরা পরিষদের সামনে সড়কে অবস্থান নেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম সেলিম পারভেজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দিনের বেশির ভাগ সময়ই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন বন্ধ ঘোষণার কোনো কারণ নেই।

এদিকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বোনারপাড়া এলাকায় সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান। তিনি স্থগিত কেন্দ্রগুলো বাদ দিয়ে বাকি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হাসান বলেন, উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রায় সারা দিন ভোট দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। 

কোনো কোনো কেন্দ্রে বেলা তিনটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা কারও কাছে কোনো অভিযোগ দেননি। অথচ যৌক্তিক কারণ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে, যা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে।

টিএইচ

Link copied!