অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৩:০৩ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করা কোনো হঠকারী ছিল না। আমার একক সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়নি। নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট কবে হবে তা তদন্ত প্রতিবেদন দেখার পর জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের যদি ইসির সাথে বসে নির্বাচন দেখতেন, তিনিও বুঝতেন।
সিইসি বলেন, প্রভাব বিস্তার ও ভোট দিয়ে দেয়াসহ নানা অনিয়ম ৫০ কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়েছিলো। যদি আরও কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যেত তাহলে বাকিগুলো বন্ধ করা হতো।
প্রসঙ্গ, বুধবার (১২ অক্টোবর) বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে সিইসি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।’
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
তারা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান ছাড়া বাকিরা ভোটে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
ইএফ