অক্টোবর ১৬, ২০২২, ০৩:২৯ পিএম
নারীদের জন্য গণপরিবহন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য আনতে গণপরিবহনে এবার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৯৯৯ ও ১০৯ এর মাধ্যমে নারীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। তারপর সিসিটিভির মাধ্যমে ফুটেজ সংগ্রহ করে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ও দীপ্ত ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় গণপরিবহনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
রাজধানীতে চলাচলকারী পরিস্থান পরিবহন, রাজধানী সুপার সার্ভিস, প্রজাপতি পরিবহন, বসুমতি পরিবহন ও গাবতলী এক্সপ্রেসের ১০০টি পরিবহনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। সে সময় উন্নয়ন কার্যক্রমে পুরুষের সমান অংশীদার হবে নারীরা।
সেজন্য গণপরিবহনে নারীদের নিরপদ যাত্রা ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ আনতে ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সবাই সচেতন হবে, একইসাথে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যাবে।
চালক-সহকারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নারী যাত্রীরা আপনাদের বোন-স্ত্রী-বন্ধু। আপনারা তাদের নির্যাতন করবেন না। বাস কোম্পানির মালিকেরা বাছাই করে ইন্টারভিউ নিয়ে চালক-সহকারী নিয়োগ দেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে প্রায় ৬৪ শতাংশ নারী গণপরিবহনে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন।
এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ বুলিং, ১৫ দশমিক ২ শতাংশ সামাজিক বৈষম্য, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ লিঙ্গ বৈষম্য এবং ৮ দশমিক ২ শতাংশ বডি শেমিংয়ের মতো হয়রানির মধ্য দিয়ে গেছেন।
টিএইচ