অক্টোবর ২২, ২০২২, ০৮:৫৬ পিএম
ফের মিয়ানমার থেকে ছোড়া স্টেনগানের গুলি বাংলাদেশে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড লেমুছড়ি বাহিরমাঠ এলাকায় মিয়ানমারের ছোড়া গুলি এসে পড়ে বলে জানা গেছে।
দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি বাংলাদেশে পড়ার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত থেকে ৪৯ ও ৫০ সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি মিয়ানমার সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছিল।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালের দিকে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর দুপুর ১টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড লেমুছড়ি বাহিরমাঠ এলাকায় একটি গুলি এসে পড়েছে। এতে ওই এলাকার মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, সদর ইউনিয়নের ভাল্লুক খাইয়া ও দোছড়ি ইউনিয়নের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এছাড়া দোছড়ি ইউপির লেমুছড়ি এলাকায় গোলা এসে পড়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক মিঠুন সিংহ বলেন, একটি মামলার তদন্ত করতে ভাল্লুক খাইয়া এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে থাকাকালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার দুপুরে লেমুছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের প্রায় ৩০০ গজ দূরে একটি গুলি এসে পড়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ওখানে যাওয়া যাবে না। তবে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দোছড়ি ইউনিয়ন ও ঘুমধুম ইউনিয়ন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
মাঝে মধ্যে সীমানা পেরিয়ে ওপারের ছোড়া মর্টারশেল ও গোলাবারুদ বাংলাদেশে পড়ে। সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে একাধিকবার ডেকে প্রতিবাদও জানানো হয়।
টিএইচ