Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত

নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে ফের গোলাগুলি, নিরাপদ আশ্রয়ে দেড়শ পরিবার

মো. মাসুম বিল্লাহ

অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১২:২৭ পিএম


নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে ফের গোলাগুলি, নিরাপদ আশ্রয়ে দেড়শ পরিবার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আন্তর্জাতিক পিলার নম্বর ৪৪-এর ওপারে মিয়ানমার অংশে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে এ গোলাগুলি শুরু হয়।

সীমান্তের এপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সংলগ্ন চাকঢালা-চেরার মাঠ এলাকার বাসিন্দারা প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানান সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আতঙ্কিত সীমান্ত অধিবাসী দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশকে পাশ্ববর্তী সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে  এবং ১২টি পরিবারের নারীদের ছেড়ারমাঠ এলাকার এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে রাখা হয়েছে। সীমান্তবর্তী অধিবাসীদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) চাকঢালা সীমান্তে বিকেল থে‌কে গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেলেও রাত পর্যন্ত এর তীব্রতা বাড়ে। মর্টার শেল ও গুলির বিকট শব্দে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় এপারের মানুষকে ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার বলেন, শনিবার বিকেল থেকে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে রাতে চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের ছেড়ারমাঠ এলাকায় গোলাগুলির তীব্রতা বাড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে ছেড়ারমাঠ এলাকা দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসের নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি তিনি৷

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির দায়িত্বশীলদের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টো করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। 

তাদের দমন করতে জান্তা বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এছাড়া এসব ঘটনায় অনেকে আহত হন।

টিএইচ

Link copied!