নভেম্বর ৬, ২০২২, ০২:১০ পিএম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মালিকানাধীন নীলক্ষেত রোড সাইড মার্কেট দক্ষিণের (তুলা মার্কেট) দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অবৈধভাবে নির্মিত ১৪৮টি দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
মার্কেটের অবৈধ অংশ ভাঙতে রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সোমবার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে সংস্থার সম্পত্তি বিভাগ।
নীলক্ষেতের গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ-সংলগ্ন সড়কের পাশে চার কাঠা জায়গার ওপর এই অবৈধ মার্কেটটি গড়ে তোলা হয়। প্রকাশ্যে মূল্যবান ওই জমির ওপর অবৈধ মার্কেট গড়ে তোলা হলেও ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা নির্বিকার ছিল। প্রায় এক দশক ধরে ওই মার্কেটটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তিনতলা মার্কেটের পুরোটাই ইট-সিমেন্টের ভবন।
এর কারণে বৈধ দোকানগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। ঠিক কবে নাগাদ ভাঙা অংশ সংস্কার করে দোকান করা যাবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন।
আগামীকাল সোমবারও অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে। ছবির মার্কেটের উপরের দুইতলা ভেঙে ফেলা হবে। ছবির মার্কেটের উপরের দুইতলা ভেঙে ফেলা হবে।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, আজ প্রথম দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করবেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়াও পরবর্তীদিন অভিযান চালাবেন এক্সিকিউটিভ ম্যাসিস্ট্রেট আফিফা খান।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অবৈধ দোকানগুলো ভাঙার জন্য আজকে অভিযান শুরু হলো। আগামীকালও অভিযান অব্যাহত থাকবে। কবে নাগাদ পরিপূর্ণভাবে অবৈধ স্থাপনা গুলোর আবর্জনা অপসারণ করা যাবে সেটি এখন বলা যাচ্ছে না।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা সিটি কর্পোরেশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা। বাকি বিষয় সিটি কর্পোরেশন জানে।
জানা যায়, মার্কেটটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার নকশাবহির্ভূত এসব দোকান বরাদ্দের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কোটি কোটি টাকা। বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে ভাঙা যায়নি এসব দোকান। সবশেষ সিটি করপোরেশন এগুলো ভাঙার উদ্যোগ নেয়।
দেখা যায়, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলার পাশাপাশি মালামাল সরিয়েছেন নিচ তলার দোকানিরাও। এ বিষয়ে দোকানিরা জানান, নিচতলার পেছনের কিছু অংশ ভাঙা হবে। এছাড়াও সামনে প্রায় চার ফুট কার্নিস ভাঙা হবে বলে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে।
দোকানিদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন অনেকটা জেদের বশেই দোকানগুলো ভাঙছে। আর এজন্য বিনিয়োগকারীদের মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অনেকের ব্যবসা বন্ধেরও উপক্রম হয়েছে বলে দাবি তাদের।
টিএইচ