Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

জাপানি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০৮:২৮ পিএম


জাপানি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পুলিশকে জড়িয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির যে বক্তব্য এসেছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসবিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একজন রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য তাদের ‘হতবাক’ করেছে। ‘ভিত্তিহীন’ ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ফের এমন বক্তব্য না দিতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের এই সংগঠন।

গত সোমবার ঢাকায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন- ‘আমি শুনেছি, (গত নির্বাচনে) পুলিশের কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। আমি অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্তের কথা শুনিনি।’

তার এ বক্তব্যের কারণে পরদিন (মঙ্গলবার) তাকে তলব করা হয় বলে বুধবার ফেসবুকে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।সেখানে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতদের আচরণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর গুলশানে এক অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি পুলিশের বিরুদ্ধে যে ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তা পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, তার বক্তব্য বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে ‘বিব্রত ও মর্মাহত’ করেছে। তার এমন বক্তব্য ‘অসমর্থিত, ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত’।

বিবৃতিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ছিল বলে সব মাধ্যমে মতামত এসেছে দাবি করে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘তথাপি গত নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে তথ্য-উপাত্তবিহীন যাচাই-বাছাই ব্যতিরেকে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি এহেন মন্তব্য বাংলাদেশ পুলিশসহ দেশবাসীকে হতবাক করে দিয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। ভোটারের প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া বা ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের ভোট প্রদানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই।’

টিএইচ

Link copied!