জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম
ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমের আলোচিত অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম মনোনয়নপত্র ফিরে না পেলে হাইকোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে (মঙ্গলবার) নির্বাচন ভবনে আইন শাখায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন জমা দেন তিনি। এখানে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে হিরো আলম জানিয়েছেন, দুটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলে উভয় আসনেই নির্বাচন করবেন তিনি। সুষ্ঠু ভোট হলে একশভাগ জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আলোচিত এ অভিনেতা।
হিরো আলম বলেন, ‘কাগজ-পাতি সব সহকারে আমি এখানে জমা দিয়েছি। এখন বাদ-বাকিটা তাদের যাচাই-বাছাইয়ে বুঝতে পারব তারা সুষ্ঠু বিচার করল আমাদের, না অবিচার করল। এখান থেকে বাতিল করলে আমি আবার হাইকোর্টে যাব। দুই আসন থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেলে দুটি আসন থেকেই ভোট করব।’
সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন বলেও দাবি করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, কারণ একই ভুলের কিন্তু ২০১৮ সালের ভোট বাতিল করেছিল। আপনারা সবাই জানেন। আমি আপিল করি। আপিল করার পর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করি। এবার তো এই ভুল করার কথা না। ওনারা যে কথা বলেছেন একটা ভুল দেখা গেছে। একটা ভোটারের নাকি নাম্বারই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জমাই দেই নাই আমি। আমরা নাম্বার পেয়েছি ওটা জমা দিয়েছি।’
সব পরিপূর্ণ থাকার পরও কেন এমন ঝামেলা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি শুধু আমার না। দুটা আসনে ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। সবারই একই ভুল। আমার নামে কোনো মামলা, ঋণখেলাপি বলেন— কোনো কিছু নেই। আরও আইনে অনেক সমস্যা থাকে না। কিন্তু একটা দোষও তারা খুঁজে বের করতে পারে না।’
দুটি আসনে মনোনয়ন কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুটি কেনার কারণ হলো— বগুড়া-৪ থেকে মনোনয়ন কিনেছিলাম প্রথমে। তার পরে আমি যখন দেখেছিলাম তারা (বগুড়া সদর) পছন্দের প্রার্থী পাচ্ছিল না, তখন এলাকাবাসী বলল আমাদের সবার দাবি তুমি এবার বগুড়া সদর থেকে নির্বাচন করো। আর আমার বাসা বগুড়া সদরে। সবাই চাইতেছে। আর আগে কাহালু-নন্দীগ্রাম থেকে যেহেতু আমি নির্বাচন করেছি। এ জন্য সবার মন রক্ষা করার জন্য ভালোবাসা রক্ষা করার জন্য আমি দুটি আসন থেকে নির্বাচন করছি।’
ইউনিয়ন পরিষদে জয় না পেয়েও সংসদ নির্বাচন করছেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আশাবাদী। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। একশ পার্সেন্ট আমি দিতে পারি যে জয়লাভ করব।’
হাইকোর্ট থেকে মনোনয়ন ফিরে পেয়ে গতবারের সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘তখন প্রথমবার আমি এমপি ইলেকশন করি। তখন অভিজ্ঞতা একটু কম ছিল। বুঝিনি এত ঝামেলা হবে। আমি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করেছি এতকিছু তখন ছিল না।’
সেবারও হাল ছাড়েননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে রিট করলাম মনোনয়ন ফিরে পেলাম। সেই নির্বাচনে ভোটের দিন আমার সঙ্গে মারামারি হয়। পরে দুপুর বেলা আমি ভোট বর্জন করি।’
দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর দুটিই বাতিল হয়েছে কেন এমন প্রশ্ন তুলে হিরো আলম বলেন, ‘এর তো কোনো কারণ থাকতে পারে। সামনে নির্বাচন এই মুহূর্তে আমরা বলব না, ষড়যন্ত্র কারা করছে। আগে ভোটের মাঠে যাব। ফল দেখব। তার পর আপনারাই দেখতে পারবেন কারা ষড়যন্ত্র করে।’
কেএস