Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

এখনো বিক্রি হয়নি পরী পালঙ্ক, দাম বেড়ে হয়েছে ৫১ লাখ

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রতিনিধি

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম


এখনো বিক্রি হয়নি পরী পালঙ্ক, দাম বেড়ে হয়েছে ৫১ লাখ

রাজধানীর উপকণ্ঠ পূর্বাচলে আয়োজিত এবারের বাণিজ্য মেলার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে রাজকীয় পরী পালঙ্কখাটের, দাম বেড়ে হয়েছে ৫১ লাখ টাকা।

দিন যত বাড়ছে পালঙ্ক দেখতে মেলায় সকাল থেকেই ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। মেলায় এসেছেন কিন্তু পরী পালঙ্ক দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।

অত্যাধুনিক কারুকাজের খাটটি তৈরিতে কোনো ক্যাটালগ ব্যবহার করা হয়নি। বিশ্বের কোথাও এর নকশা খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানান খাটের মালিক। খাটটিতে ১৬টি পরী, ৪টি প্রজাপতি ও ৪টি চাঁদ রয়েছে।

খাটের চার কোণে ডানা মেলে দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে চারটি কাঠের তৈরি পরী। পরীদের ডান হাতে রয়েছে প্রজাপতি। জলম এবং বক্সের অংশে রয়েছে ছোট বড় আরও ১২টি পরী। পুরো খাটজুড়ে রয়েছে হাতে খোদাই করা নকশা। কাঠের কারুকাজ করা ১৬টি পরী ছাড়াও নানা রকমের নকশায় ফুটে উঠেছে খাটটি।

সেগুন কাঠ দিয়ে সম্পূর্ণ হাতে খোদাই করে বানানো রাজকীয় এই খাট নজর কাড়ছে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় মেলার শুরু থেকেই দেখা গেছে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামে ৪২নং স্টলে খাটটি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন সবাই কিনতে না পারলেও এক নজর দেখার জন্য আসছেন সেলফী নিচ্ছেন পরীর সাথে। দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থী।

জানা গেছে, শখের বসে খাটটি বানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা গুইমারা ইউনিয়নের ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো. নুরন্নবী।

শখের বশে বানালেও তিনি খাটটি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন ঢাকা বাণিজ্য মেলায়। ২০১৭ সালে নুরুন্নবীর বাড়িতে পরী পালঙ্ক খাটের কাজ শুরু হয়। খাটের কাজ শেষ হয় গত বছরের ১৬ মার্চ। কোনও সহযোগি ছাড়া এককভাবে ৩ বছর ২ মাসে এটি তৈরি করেছেন আবু বক্কর। কাঠমিস্ত্রি তার কাজের পারিশ্রমিক নিয়েছেন ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এটি তৈরি করতে কাঠ লেগেছে প্রায় ৮৫ ঘনফুট। খাটটির বার্নিসের পেছনে খরচ হয়েছে লাখ টাকারও বেশি। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। এক কোটি টাকা দাম চাইলেও কিছু কমে খাটটি বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন নুরুন্নবী।

এর আগে প্রথম সাপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা দাম উঠেছিল খাটটির (১৪ তারিখ) গত শনিবার পর্যন্ত বেড়ে ৫১ লাখ টাকা হয়েছে বলে আমার সংবাদকে জানান নুরুন্নবী।

তবে এক কোটি টাকা চাইলেও কিছুটা কমে বিক্রি করবেন বলেন। জানাচ্ছেন খাট বিক্রির লাভের একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিবেন।

তিনি জানান, এই খাটটি যে কিনবে খাটের সঙ্গে উপহার হিসেবে তাকে ইয়ামাহা ব্রেন্ডের একটি এফ জেড মোটরসাইকেল এবং ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হবে। আর দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

গাজীপুর পূবাইল থেকে মেলায় ঘুরতে আসা নুর মোহাম্মদ আমার সংবাদকে জানান, গত ১০ বছর আগে তিনি শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় ১ বার গিয়েছেন এবার পূর্বাচলে শুধু এই পরী খাট দেখার জন্য আসেছে এবং এর সাথে ছবি তুলতে পেরে নিজেকে সার্থক মনে করছেন।

কেএস 

Link copied!