Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সাজা এড়াতে ২৪ বছর পলাতক, অবশেষে ধরা

আবু ছালেহ আতিফ

আবু ছালেহ আতিফ

জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম


সাজা এড়াতে ২৪ বছর পলাতক, অবশেষে ধরা

দীর্ঘ ২৪ বছর পলাতক থাকার পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় মোহাম্মদপুরের বসিলা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-২।  

ব্রিফিংয়ে জানা যায়, বিগত ১৯৯৮ সালের জুন মাসে যশোর জেলার কোতয়ালি থানা এলাকায় মাছের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আসামি ১) সোহরাব হোসেন, ২) আশরাফ ৩) রেজাউল ইসলাম, ৪) তরিকুল ইসলাম, ৫) খোকন ঢালী সংঘবন্ধ হয়ে ভিকটিম শুকুর আলীকে গুরুতর জখমসহ নৃসংশভাবে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালি থানায় ০৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যাহা কোতয়ালি থানার মামলা নং ১০, তারিখ-০৪/০৬/১৯৯৮, ধারা- ৩০২/৩২৪/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত ঘটনায় দেশব্যাপি ব্যাপক আলোড়ন ও চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তৎকালিন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পায়েরকৃত হত্যা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সম্পন্ন করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এজাহারনামীয় ৫ জন আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত হত্যার ঘটনায় অবগত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণ সহ দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০২ সালে ১ নং আসামী সোহরাব হোসেন (৪৫), ২নং আসামি আশরাফ, ৫নং আসামি খোকন ঢালী দের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস প্রদান করেন। এদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১নং আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) মামলা রুজু হওয়ার পর হতে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিল।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ২৩ জানুয়ারি, সাড়ে ১২টায় রাজধানীর আগুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহরাব হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য প্রথমে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ৪ বছর, মিরপুরে ৭ বছর, তেজগাঁও এ ৩ বছর এবং সাভারের জিরানীতে দীর্ঘ ১০ বছরসহ সর্বমোট ২৪ বছর বিভিন্ন পেশা ও বিভিন্ন নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে।

গ্রেপ্তারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

কেএস 

Link copied!