মার্চ ৯, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
মেসার্স তামান্না ফার্মেসির অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে ওষুধ ব্যবসায়ীদের পক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন দুলাল সাহা নামে এক ব্যবসায়ী।
সম্প্রতি দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, তামান্না ফার্মেসি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের দাবি করলেও এর অন্তরালে চলছে অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের অ-অনুমোদিত বেআইনি পণ্যসামগ্রীর কেনাবেচা। এমনকি ব্ল্যাকে আমদানি যৌনবর্ধক ওষুধসহ সেক্সুয়াল নানান পণ্যসামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এরা সু-কৌশলে সরকারের বিশাল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এভাবে তারা একের পর এক ব্রাঞ্চের সংখ্যা বাড়িয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ আরও বলা হয়, তামান্না ফার্মেসি পরিচালনা পর্ষদ পূর্বের মালিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দু’তিন জনে মিলে কিনে নেন। এরপর ব্যবসার ধরন পাল্টে ফেলেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চেইন ফার্মেসির ব্র্যান্ডিং বিক্রি করছে। সারাদেশে প্রায় দুই ডজন ব্রাঞ্চ বানিয়ে এই জালিয়াতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, তামান্না ফার্মেসির এমডি আনোয়ার হোসেন মৃধার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তার অপর পার্টনার (কাজিন) মেহেদী হাসান। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পথে তামান্না ফার্মেসিকে পরিচালনা করে আসছে। উত্তরা আজমপুর তামান্না ফার্মেসির মালিকের নাম শুধু মো. আনোয়ার হোসেন (লাইসেন্স নং- ১৪২৫৬)।
অন্যদিকে, এই ফার্মেসীর গুলশান ব্রাঞ্চ মালিকের নামের জায়গায় লেখা আছে আনোয়ার হোসেন মৃধা (লাইসেন্স নং- ২৪৭৪)। একই ব্যক্তির মিরপুর শেনপাড়া পর্বতায় তামান্নার লাইসেন্স নং- ১৩৭৮২, নাম মো. আনোয়ার হোসেন মির্জা। একই ব্যক্তির নাম একেক রকম নাম নিয়ে রহস্যের অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে তামান্না ফার্মেসির এমডি আনোয়ার হোসেন মৃধাকে মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।