Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড

‘১০ বার নোটিশ দেওয়ার পরও মার্কেটটি চলছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম


‘১০ বার নোটিশ দেওয়ার পরও মার্কেটটি চলছিল’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, ‘২০১৯ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গবাজার মার্কেটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম এবং ব্যানারও লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ১০ বার নোটিশ দিয়েছি যে, এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফায়ার সার্ভিস বা আমার করণীয় যা যা ছিল, তা করেছি। তারপরও এখানে ব্যবসা চলছিল।’

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

১০ বার নোটিশ দেওয়ার পরও সিটি করপোরেশন বা রাজউকের অবহেলায় এমন ঘটেছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। এ প্রশ্ন যে সংস্থার নাম আপনি উচ্চারণ করলেন, তাকে জিজ্ঞাস করাটা বেটার। আমরা এ মার্কেটের সামনে এ রকম ব্যানারও টাঙিয়েছিলাম ২০১৯ সালে। আপনারা মিডিয়া প্রতিনিধিরা অবশ্যই জানেন, এ রকম ব্যানার আমরা টাঙিয়েছি, আপনারা দেখেছেন।’

আগুন নির্বাপণে আরও সময় লাগবে জানিয়ে মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, আর ছড়াবে না। কিন্তু নির্বাপণ করতে আরও একটু সময় লাগবে।’

এর আগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক।

সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ করে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবি। ঘটনাস্থলের ওপরে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা যায়। হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ছিটানো হয়। এ পানি নেওয়া হয় হাতিরঝিল থেকে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট।

ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, বঙ্গবাজারের ৯০ শতাংশ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আরএস

 

Link copied!