Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

প্রায় ৭ বছর ধরে করছেন শিশু অপহরণ, মূলহোতসহ গ্রেপ্তার ৩

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ৬, ২০২৩, ০২:৫৫ পিএম


প্রায় ৭ বছর ধরে করছেন শিশু অপহরণ, মূলহোতসহ গ্রেপ্তার ৩

স্কুলশিশু অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. মিল্টন মাসুদ, মো. শাহীনুর রহমান ও সুফিয়া বেগম।

চক্রটি ৬/৭ বছর ধরে স্কুলশিশুদের অপহরণ করে আসছে। এ পর্যন্ত ৫ থেকে ৬শ’ শিশুর পিতা-মাতার কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে তারা।

শুক্রবার (৫ মে ২০২৩) গাজীপুরের সালনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে অপহরণে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন ও ৫টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

শনিবার (৬ মে ২০২৩) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ উত্তরার ৪ নং সেক্টরের হলি ল্যাবের সামনে থেকে শাহিন শেখ নামে ৬ বছরের একটি শিশু হারিয়ে গেলে উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। জিডির সূত্র ধরে খোঁজ মেলে এ অপহরণ চক্রের।

উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, চক্রটি মূলত স্কুল-মাদ্রাসা, বাজার বা রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় একাকী থাকা ৮-১৬ বছর বয়সী শিশুদের টার্গেট করে, যারা পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর বলতে পারে। এ চক্রের মূলহোতা মিল্টন মাসুদ টার্গেটকৃত শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। শিশুদেরকে তার বাবার পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। তারপর পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ৫০০ টাকা দিলেও শিশুদের ছেড়ে দেয়। অনেক সময় টাকা না দিলেও দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেয়। প্রায় ৬/৭ বছর ধরে চক্রটি ৫০০ থেকে ৬০০ শিশুর পিতা-মাতার কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

ঢাকা ও গাজীপুরে মো. মিল্টন মাসুদের নামে ৫টি এবং মো. শাহীনুর রহমানের নামে ৩টি মামলা রয়েছে।

শিশুদের অপরিচিত কারো সঙ্গে কথা না বলা, কারো দেয়া কিছু না খাওয়া বা মোবাইল নম্বর না দিতে সচেতন করার জন্য পিতা-মাতাকে পরামর্শ প্রদান করেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

এআরএস

Link copied!