আগস্ট ৩, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম
দেশের এ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের সংগঠন “এ্যামেচার রেডিও সোসাইটি অব বাংলাদেশ (এআরএসবি)”-এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. জিল্লুর রহমান। ২৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত এআরএসবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মাতিক্রমে তাকে আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে নির্বাচিত করা হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ভেঙ্গে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রেডিও যন্ত্রপাতি ও বেতার তরঙ্গের সাহায্যে পুন:স্থাপনের মাধ্যমে মানুষ ও প্রকৃতিকে সাহায্য করাই এ্যামেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিওর মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে এ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের (এআরও) সংগঠন এআরএসবি।
মো. জিল্লুর রহমান ১৯৭৩ সালে রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৬ সালে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি সরকারি চাকুরিতে যোগ দেন।
অতপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করেন। ২০১৯ সালে যোগ দেন বিশ্বব্যাংকে। বর্তমানে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। ইতোপূর্বে তিনি ডিবেটিং ক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, স্কাউটিং, বিএনসিসি, ব্লাড ডোনেশন অর্গানাইজেন, ছাত্র কল্যান সমিতি ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
সারা পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ সৌখিন এ্যামেচার রেডিও অপারেটর (এআরও) আছেন। তারা বেতার তরঙ্গ, রেডিও যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত গবেষণা, যোগাযোগ চর্চা ও মানবতার সেবা করে থাকেন। প্রত্যেকের আছে আলাদা এবং স্বতন্ত্র কল সাইন। আমাদের দেশে এ রকম অপারেটরের সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
বিজ্ঞানভিত্তিক এ স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়। দিতে হয় বিশেষ একটা পরীক্ষা। পাশ করলে বিটিআরসিতে লাইসেন্স ও কল সাইনের জন্য আবেদন করতে হয়। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে ওয়াকিটকিসহ অন্যান্য রেডিও যন্ত্রপাতি আমদানি, ব্যবহার ও গবেষণার দুর্লভ ও আনন্দদায়ক সুযোগটি পাওয়া যায়।
২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে এআরএসবি একটি সবুজ পৃথিবী বিনির্মাণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্গতদের পাশে থাকতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এইচআর