রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল (গাজীপুর)
অক্টোবর ৩, ২০২৩, ১০:২৬ এএম
রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল (গাজীপুর)
অক্টোবর ৩, ২০২৩, ১০:২৬ এএম
প্রকৃতিতে শরৎ এর আগমন জানান দেয় কাশফুল। এ ঋতুতেই ফোটে পালকের মতো নরম এবং ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল। বর্ষা ঋতুকে বিদায় জানিয়ে নীল আকাশে সাদা তুলোর মত মেঘের সাথে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়।
ঢাকার উপকণ্ঠ পূর্বাচল নতুন শহরে তেমনই শরতের আগমন জানান দিয়ে শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল।
ঢাকার খিলক্ষেত, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৬ হাজার ২২৭ একর জমিতে গড়ে উঠা দেশের সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক এই আবাসিক প্রকল্পের কাজ চলমান হওয়ায় এখনো তেমন স্থাপনা না থাকার সুযোগে প্রকৃতি সাঁজিয়েছে কাশফুলে।
শরৎ এলেই সাদা ফুলে গোটা পূর্বাচলের ৩০টি সেক্টর এলাকা ছেঁয়ে যায়। ভিড় জমে যায় কাশবনে কিশোর-তরুণসহ সব বয়সী মানুষদের।
চারদিকে শুভ্র কাশফুল, আর লেকের ধারে শরীর মন জুড়িয়ে দেওয়া বাতাস। কেউ বসে গল্প করছেন। বিকেল নামতেই পুরো এলাকা যেন রূপ নেয় গ্রামীণ মেলায়। কেউ বা ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন। কেউ খালি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। কেউ আপনমনে গুনগুন করে গাইছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসছেন এই কাশবনে। এমন চিত্র দেখা যায় প্রতিদিন।
সোমবার বিকেলে পাশের এলাকা গাজীপুরের গলান থেকে প্রিয় বান্ধুবী জান্নাত ও তামান্না কে নিয়ে নিশিতা নিশু বেড়াতে এসেছেন পূর্বাচল সেক্টর ২১ এর লেক এলাকায়। সেখানে বান্ধুবীদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, এখানে এসেছি কাশফুল দেখতে ছবি তুলেছি আমার। অন্য বান্ধবীদের উপহার দিতে অনেক গুলো তুলেও নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কাশফুলের গন্ধ নেই, কাশফুল প্রিয়জনের জন্য উপহার হিসেবে দেয়ার ফুলও নয়। তবে কাশফুলের মধ্যে রয়েছে রোমাঞ্চকর উন্মাদনা। যা দেখে মন ভালো হয়ে যায়। কাশফুলের এই শুভ্রতা এবং স্নিগ্ধতা ছুঁয়ে যাক প্রতিটি হৃদয়।
ঢাকার বারিধারা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন মামুন মিয়া বলছেন, ইট-পাথর আর যানযটের শহরে থেকে মাঝে মধ্যে মনের প্রশান্তির জন্য বেড়াতে হয় ঢাকার অদূরে হওয়ায় এই স্থানে প্রতিবছর এসময়ে আসা হয়। চলতি বছর এ সময়টাতে বাসা থেকে বের হইনি। তবুও মন টানে কাশফুলের দোল খাওয়া শুভ্রতা উপভোগ করতে তাই চলে এসেছি। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে কাশফুলের সমারোহে বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে।
ঢাকা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে পূর্বাচল যেতে হয় তিনশ’ ফিট রাস্তা ধরে। এই রাস্তার দুই ধারেই রয়েছে অসংখ্য কাশবন। চাইলে হেঁটে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায়। রিকশা করেও ঘুরতে পারেন। কালো কুচকুচে পিচঢালা রাস্তার দু-পাশে শুভ্রতার সমারোহ আপনার মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কল্পনার রাজ্যে।
এআরএস