অক্টোবর ২৯, ২০২৩, ১০:৩৪ এএম
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশের টিয়ারগ্যাস, গুলি, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বিএনপির। হরতালের দিন সকাল থেকেই রাজধানীর সড়ক মহাসড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। পূর্ণ কর্মদিবস হলেও সড়কে গণপরিবহন একেবারেই কম।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ধানমন্ডি, গাবতলি, মিরপুর, উত্তরা, মহাখালী, কাওরান বাজার, কুড়িল বিশ্বরোড়, বনানীসহ ব্যস্ত সড়কগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঝে মাঝে দুই-একটি বাস চলছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, বিশেষ করে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চোখে পড়ছে। এছাড়া রিকশা ও ছোট কিছু যাববাহন চলতে দেখা গেছে। তবে সরকারি গণপরিবহন বিআরটিসির বাসগুলো অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে বেশি চোখে পড়ছে।
গণপরিবহণ কম থাকায় অফিসগামী ও বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষজনকে ঠাসাঠাসি করে বাসে উঠতে দেখা গেছে। অনেক স্থানে অফিসগামী মানুষজন দলবেঁধে ভিড় জমিয়ে আসেন বাসের অপেক্ষায়।
প্রসঙ্গত, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে মহাসমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সে সময় পুলিশের একটি দল সাঁজোয়া যানসহ এগিয়ে আসতে থাকে নয়াপল্টনের দিকে। সেখানে ছররা গুলি-টিয়ার শেল ছোড়া হয়। আমীর খসরুর বক্তব্যের পর পরই সভামঞ্চের মাইক বন্ধ হয়ে যায় এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা বসে পড়েন। ১০ মিনিটের ব্যবধানে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে পুরো এলাকার নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
এরপর বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নেমে যান মঞ্চ থেকে। এ সময় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি হ্যান্ডমাইকে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এআরএস