কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আগানগর, শুভাঢ্যা, তেঘরিয়া, কোন্ডা ও বাস্তা ইউনিয়ন ২১টি রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রাথমিক পর্যায় ২০০ সিসি টিভি ক্যামেরার স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে কেরাণীগঞ্জের সেমন্তী কনভেনশন হলে স্থানীয় সাংসদ সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান রিপনের হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাসুদুর রহমান সিসি টিভি স্থাপনের জন্য ১০ কোটি টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। কেরাণীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন।
এসময় বক্তব্য রাখেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পৃষ্ঠপোষকতাকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার সেটি বাস্তবায়নে পুলিশবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কেরাণীগঞ্জের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ তারই অংশ। পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত শান্তি সমাবেশের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, সেখানেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মাহুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, একসময় কেরাণীগঞ্জ সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে কেরাণীগঞ্জে কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারত না। সব শ্রেণি পেশার মানুষ সারাক্ষণ আতংকে থাকত। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমরা কেরাণীগঞ্জকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছি। এতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার কথাও না বললেই নয়। নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা জোরদারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই ধরনের সিসিটিভি দেশের আধুনিক এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। কেরাণীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে যাচ্ছে, সেগুলো খুবই অত্যাধুনিক। প্রতিটি অলি-গলিতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করব। এর মধ্য দিয়ে কেরাণীগঞ্জের মানুষকে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিয়ে যাবে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা কেরাণীগঞ্জকে শতভাগ অপরাধমুক্ত ঘোষণা করব ইনশাআল্লাহ।
এআরএস