কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন উপেক্ষা করে শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে মো. জাকারিয়া, মো. এহিয়া, মো. ইলিয়াচ ও মো. রুবেল মিয়া।
এলাকায় তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেও থামাতে পারেনি পুকুর ভরাটের এই কার্যক্রম। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সতাল এলাকায় আলাউদ্দিন কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও আওলাদ মেশিনারীজ কারখানা সংলগ্ন স্থানে দেখা যায় পুকুর ভরাটের দৃশ্য।
জানা যায়, পৌরসভাধীন সতাল এলাকার হাজী তজিমুন নেছা নামের এক মহিলা মৃত আব্দুল খালেককে দীর্ঘদিন ধরে লালন-পালন করে আসছিলেন। সেই স্বার্থে তজিমুন নেছা আব্দুল খালেককে প্রায় ৬০ বছর আগে ২৫ শতাংশের শতবর্ষী একটি পুকুর দান কবলা হিসেবে উইল করে দেন। পরে আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর তার ৪ ছেলে পুকুরটি ভোগ দখল করে এবং বিগত তিন বছর আগে প্রথমে একটি দোকান এবং পরে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরটি কয়েকদিন আগে বালু দিয়ে প্রায় অর্ধেক ভরাট করা হয়েছে। অপর একটি স্থানে তারা থাকার জন্য বাড়ি নির্মাণ করছে।
এ বিষয়ে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এই পুকুরটি প্রায় শতবছরের পুরানো একটি পুকুর। স্বাধীনের আগে ধোপারা এখানে কাপড় ধুয়ে থাকতো। এখন তারা পুকুরটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করছে। আশেপাশে অনেক দোকান রয়েছে, আর কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে এই পুকুরের পানি কাজে লাগতো।
এ ব্যাপারে পুকুরের এক মালিক মো. জাকারিয়া বলেন, "আমরা এই পুকুরের উপর প্রায় ৩-৪ বছর আগে বাড়ি নির্মাণ করেছি। এখন পুকুরের বাকি অংশ বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করব। পরিবেশ অধিদপ্তর বাঁধা দিলে আমরা দেখব।"
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মমিন ভূঁইয়া জানান, "পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনে পুকুর ভরাট দণ্ডনীয় অপরাধ। পুরানো পুকুর কেউ ভরাট করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
ইএইচ