নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
বান্ধবীর ডাকে সাড়া দিয়ে খুন হয় হাজারীবাগ এলাকায় বসবাসরত একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়া আক্তার স্নেহা। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৫ জুন। এ ঘটনায় হত্যাকারী রায়হান গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত মূল পরিকল্পনাকারী রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে।
এঘটনায় জড়িত স্নেহার বান্ধবী মূল পরিকল্পনাকারী শায়লা আক্তার ও তার মা কবিতাসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত কলেজ ছাত্রীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে স্নেহার মা নাজনীন নাহার লাবনী বলেন, গত ২০২৩ সালের ৫ই জুন বিকেলে কোচিংয়ের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় স্নেহা। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে আমার মোবাইলে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে কল করে জানানো হয়। আপনার মেয়ে অটোরিক্সা থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছে। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে গিয়ে আমার মেয়েকে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় সেখানকার জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আমাদের জানায় যে, আমার মেয়ে হাসপাতালে আনার অনেক আগেই মারা গেছে। পরে আমার মেয়েকে দেখি কপালের ডান পাশে আঘাতের ফুলে ওঠার চিহ্ন, নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়ার এবং মুখ থেকে লালা বের হচ্ছিল এবং ডান কাঁধ অনেক ফুলা ছিল।
এ বিষয়ে সকল তথ্য প্রমান দিলেও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারকরে আইনের আওতায় নিয়ে আসছে না। এখন আমার একমাত্র মেয়ে স্নেহার হত্যাকান্ডটির তদন্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়। তাই আমি মামলাটির সুষ্টু ও সঠিক তদন্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)-তে তদন্তাধীন। এমতাবস্থায়, মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতার করে মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন করে ন্যায় বিচারের দাবী করছি।
মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডি.এম.পি কমিশনারের দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। সামিয়া আক্তার স্নেহা খুনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারকরে বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও র্যাবের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবী করেন স্হোর মা নাজনীন নাহার লাবনী।
আরএস