নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
আগামী ২৪ মে নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের জন্য ‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ ৩৩ তম আসর অনুষ্ঠিত হবে। ৪ দিনব্যাপী বই মেলার আয়োজক মুক্তধারা ফাউন্ডেশন।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ তথ্য জানান মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রোকেয়া হায়দার।
লিখিত বক্তব্যে রোকেয়া হায়দার বলেন, ‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০২৪ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে ২৫টির মতো প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। এর পাশাপাশি কোলকাতা থেকে ৫টি এবং নিউ ইয়র্কসহ আমেরিকা ও কানাডা থেকে ১০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিবে। অর্থাৎ এই ৩টি দেশ থেকে ৪০টির প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০টির অধিক রাজ্য থেকে এবং কানাডা, জার্মান, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও জাপান থেকে শতাধিক লেখক সাহিত্যিক এই মেলায় অংশগ্রহণ করবেন।’
তিনি আরও বলেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান হবে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এই বই মেলায় আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিক ও লেখক হাসান ফেরদৌস।সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে থাকছে বিশেষ আলোচনা। অভিবাসীদের জীবনচরিত নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং অর্ধশতাধিক লেখকের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বই পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠান থাকবে। বইমেলার চারদিনই বিভিন্ন পর্বে থাকবে আমেরিকায় বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান। উত্তর আমেরিকার ১৫টির বেশি সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন কার্যকরী সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বই মেলার সিগনেচার অনুষ্ঠান লেখক-পাঠক মুখোমুখিও থাকছে।
রোকেয়া হায়দার বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও দেওয়া হবে মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪। এ পুরস্কারের অর্থমান ৩ হাজার ইউএস ডলার। গত বছর পুরস্কার পেয়েছেন কবি আসাদ চৌধুরী। অভিবাসী নতুন লেখকদের প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হবে শহিদ কাদরী গ্রন্থ পুরস্কার ২০২৪। অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা সংস্থা থেকে বিজয়ী শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হবে চিত্তরঞ্জন সাহা সেরা প্রকাশনা সংস্থা পুরস্কার ২০২৪।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘মায়ের ভাষার জন্য জীবন দিল যারা তারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম শহিদ। তারা বাংলা ভাষা উচ্চারণ করে বাঙালি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। তারপর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্বে আজ বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি এটা আমার এক ধরনের অহংকার। নিউইয়র্কের বইমেলার ৩৩ বছর চলছে। কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন ৩৩ বছর কেউ কথা রাখেনি। কিন্তু মুক্তধারা ফাউন্ডেশন তার কথা রেখেছেন। তারা ৩২ বছর পার করে ৩৩ বছরে এই মেলা আয়োজন করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশন প্রধান উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ,জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলা অ্যাকাডেমির পরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা, জাতীয় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখড়, একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন, সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, অনিন্দ্য প্রকাশনীর প্রকাশক দেলোয়ার হোসেন, অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মনিরুল হক, কবি সৈয়দ আল ফারুক প্রমুখ।
বিআরইউ