নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্চ ২, ২০২৪, ১২:০২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্চ ২, ২০২৪, ১২:০২ পিএম
অতীতের অগ্নিদুর্যোগের ঘটনার মতই রাজধানীর বেইলি রোডের `গ্রিন কোজি কটেজ` নামক ভবনটিতে ২৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে আসলে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড হিসেবেই বিবেচনা করা দরকার।
এর মানে হচ্ছে নগর পরিকল্পনা, ভবনের ডিজাইন, নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা, ভবনের ব্যবহার, ভবনের অগ্নি প্রতিরক্ষা, ফায়ার ড্রিল, ভবন মালিকের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এবং নগর সংস্থাসমূহের নিয়মিত তদারকি থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
আর তাই এই ধরনের দুর্ঘটনা আসলে গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা না করলে এবং এই বিষয়ে যে সকল ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, উদাসীনতা, দায়িত্বহীন ও অন্যায় আচরণ করেছেন তাদের যথাযথ আইনের আওতায় না আনলে এর পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।
শনিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সে (বিআইপি) কনফারেন্স হলরুমে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড এবং ভবনে জীবনের নিরাপত্তা : বিআইপির পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তাবনা` শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান এসব কথা বলেন।
বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) মনে করে মানুষের জান-মালের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বেইলি রোডে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
তদন্তের পাশাপাশি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানে ভবনে অগ্নি দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি বৃদ্ধি এবং ভবন নির্মাণে বিদ্যমান আইনের অনুশাসন বাস্তবায়নে করণীয়সমূহ নির্ধারণ করে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামক ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য, কিন্তু এর বেশির ভাগই ব্যবহার হয়েছে রেস্তোরাঁ হিসেবে; যা সুস্পষ্টভাবে ইমারত আইন ও নগর পরিকল্পনার ব্যত্যয়। ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মোবাইল ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও।
বিআরইউ