Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

৯ বছর আগেই মালিকানা হস্তান্তর করে ডেভেলপার কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩, ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম


৯ বছর আগেই মালিকানা হস্তান্তর করে ডেভেলপার কোম্পানি

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে শুক্রবার রাতে রমনা থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলা করেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফার্সি।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় আদালতে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ডে আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে আসামি করা হয়েছে, ভবনটিতে থাকা ফাস্টফুড দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কজিকটেজের স্বত্বাধিকারী বলে উল্লেখ করা আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০)। তবে ভবনটির মালিক বা স্বত্বাধিকারী আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান গাজী আহমেদ উল্লাহ্ বলেন, গ্রিন কজিকটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নয়। ভবনটি শুধু জয়েন্ট ভেনচারে নির্মাণ কাজটি (ডেভেলপার হিসেবে) সম্পন্ন করেছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনের জমির মালিক ছিলেন হামিদা খাতুন নামে একজন নারী। ডেভেলপার হিসেবে ২০১৫ সালে এ ভবন নির্মাণের পর তথা ৯ বছর আগে সম্পূর্ণভাবে তা মালিক বা স্পেস ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। বর্তমানে ‘গ্রিন কজিকটেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে ওই ভবনের আলাদা মালিক সমিতি আছে। এই মালিক সমিতি ভবনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ফলে ভুল তথ্য জেনে কোনোভাবে মামলায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের নাম জড়ানো হয়েছে।

গাজী আহমেদ উল্লাহ্ বলেন, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলা যেহেতু হয়েছে, তাই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মামলার বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পর আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ সঠিক ও ন্যায়বিচার পাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

তিনি  আরও বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি প্রতিষ্ঠানটি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।

৪৪ জনের মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের হস্তান্তর

বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ শনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রমনা থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনায় দগ্ধ মিনহাজের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় দুটি মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ দুটির মধ্যে একজনের নাম, বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এবং অন্যটি এক শিশুর। এর মধ্যে বৃষ্টি বা অভিশ্রুতির ধর্মীয় নামকরণ নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি ডিএনএ পর্যায়ে গেছে। এ ছাড়া শিশুটির কোনো স্বজন বা পরিবারকে এখনও পাওয়া যায়নি।

পাঁচজনের চিকিৎসা চলবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী

গতকাল শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ১১ জন অগ্নিদগ্ধের মধ্যে ছয়জনকে দুয়েক দিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমাকে প্রধান করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসার খরচ প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন। তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাই এখনই তাদের নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

ইএইচ

Link copied!