নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৮, ২০২৪, ১১:১২ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৮, ২০২৪, ১১:১২ এএম
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, সরকার এখনো ৭ই মার্চের ভাষণের কপিরাইট পাওয়ার কাজই শুরু করেনি। ৫৩ বছর হয়ে গেলেও পুরো ভাষণটি রক্ষা করেনি। জামদানি শাড়ির জিআই ভারত নিয়ে নেয়ার পর আলোচনা হচ্ছে, আগে কিন্তু হয়নি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটি কিন্তু সাধু ভাষায়। কিন্তু পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল চলতি ভাষায়। সাধু ও চলতি ভাষা কিন্তু এক না। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের প্রকৃত মাধুর্য পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং বাংলাদেশের গণমাধ্যম’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআইবি মহাপরিচালক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ নানা ক্ষেত্রে আমরা এখনো কপিরাইটের দিকে যাইনি। সেগুলো অন্যরা দাবি করে বসলে আমাদের টনক নড়বে।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণটি পেয়েছি সেটি কাট কাট করে পেয়েছি। কারণ তখন ওই ভাষণের পুরোটি একসঙ্গে রেকর্ড করা যায়নি। তাই কাট কাট থাকার কারণে কোথাও কোথাও কিছু শব্দ বাদ পড়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে কোনো শব্দ বাদ দেয়া বা জুড়ে দেয়ার সুযোগ নেই।
লেখক ও গবেষক লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক বলেন, ‘একাত্তর হচ্ছে আত্মত্যাগ, সেক্রিফাইস। আমরা আত্মত্যাগ করেছিলাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এখানকার সময়ের প্রত্যেককে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সেক্রিফাইস করতে হবে। দেশকে গড়তে সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে। প্রকৃত দেশপ্রেমের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির চিরলালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা ও মুক্তির সাহসী উচ্চারণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণটি হয়ে উঠেছিল একটি জাতির পরিত্রাণের মহামন্ত্র। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাতে পুরো ভাষণটি শুনতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, আজকে যাদের গলা বড়, তখন তাদের সুর অনেক নরম ছিল।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন বলেন, ইতিহাসের সেরা রাজনৈতিক ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি সর্বশ্রেষ্ঠ। পৃথিবীর অন্য সব সাড়া জাগানো ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল সম্পূর্ণ অলিখিত। এই ভাষণের রূপরেখা ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (এনআইএমসি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক। এনআইএমসি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক তানিয়া খান, সুমনা পারভীন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশন সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. রফিক মৃর্ধা, দেলোয়ার হোসেন মাহিন, শরীফুল ইসলামসহ ডিআরইউ’র সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আগত সাংবাদিকবৃন্দ। সেমিনার সমন্বয় করেন সহকারী পরিচালক তানজীম তামান্না।
এআরএস