Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

ডিএসসিসি

দেশে স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মার্চ ২০, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম


দেশে স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যু হচ্ছে

যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু হার বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২০ মার্চ) ভূতের গলি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাথে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।

মতবিনিময়কালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু হার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতকালও আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ এ বিষয়ে একটা সভা করেছি। যে বিষয়টা সবচেয়ে পীড়াদায়ক তা হলো যে, গত বছর মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে গিয়েছিলো। সেই ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, স্বাস্থ্যসেবাকে আরো নিশ্চিত করতে হবে। অনেক রোগীদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ে বলা হয়েছে যে, হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করলেও চলবে। পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে সেই রোগীর পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপ হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পরে তিনি যখন ভর্তি হয়েছে তখন দেখা যায় তাকে সেভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া যায় না।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় পৃথিবীর অনেক দেশের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বে বিশেষ করে, যে সকল দেশে মৌসুমি বৃষ্টি হয় তথা বর্ষা প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এডিস মশা বেশি হয়। সেসব দেশের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, তাদের তুলনায় আমাদের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। তাহলে বুঝা যাচ্ছে যে, আমাদের দেশে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবাটা সঠিকভাবে পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৫ হাজারের মতো হলেও মৃত্যু হয়েছিল ২০০ এর নিচে। গতবছর ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার। কিন্তু মৃত্যু ১ হাজার ৭০০ এর বেশি। পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের আরো গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করব। সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন পর্যাপ্ত কাজ করছে। আমাদের পরিধি অনেক বৃদ্ধি করেছি। আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় বৃদ্ধি করেছি।

পরে মেয়র ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুলের সৌজন্যে ওয়ার্ডের আওতাধীন ২১টি মসজিদের ১৫০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব ও খাদেমের মাঝে ২৫ কেজি চাল, ৩ কেজি পোলাও চাল, ৩ কেজি চিনি, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেজুরসহ ২৪ ধরনের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও ঢাদসিক মেয়র শ্যামপুর এলাকায় ৫৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাসুদের সৌজন্যে ওয়ার্ডের ২ হাজার ৫০০ বাসিন্দার মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি চিনি, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ডালসহ ৮ ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

বিআরইউ

Link copied!