Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

প্রতিদিন ইফতার নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ‘বিগ ইফতার’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম


প্রতিদিন ইফতার নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ‘বিগ ইফতার’

মিরপুর গাবতলীতে প্রতিদিন বিনামূল্যে প্রায় ১৩০০শ’ মানুষকে ইফতার করাচ্ছে ‘বিগ ইফতার’ নামে একটি সংগঠন।"জ্বলুক চুলা সব পাড়া মহল্লায়, ক্ষুধার্ত না থাকুক একটাও মানুষ" –এ শিরোনামে বাচ্চা, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম -মুয়াজ্জিন, ভাড়াটিয়া, ভ্রাম্যমাণ মানুষ, গাবতলী চেকপোস্টের পুলিশদের জন্য করা হয় প্রতিদিনের এ আয়োজন।চার ডেকচিতে রান্না হয় মুরগি ও সবজি খিচুড়ি সঙ্গে খেজুর আর জিলাপিও থাকে।

শুরুতে কয়েকজন যুবক মিলে এ উদ্যোগটি   নিলেও পরবর্তীতে সমাজের বেশকিছু মানুষ এগিয়ে আসেন এর শরিক হতে।

সারাদিন রোজা রেখে বিনা পয়সায় নিরলস ভাবে রান্না ও বিতরণের এই আয়োজনের করে থাকেন। বর্তমানে তাদের ৮০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা গাবতলী বাস টার্মিনাল, কেরানীগঞ্জ, বাগবাড়ি ক্লাব মসজিদ ও বিগ ইফতারের অফিসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিগ ইফতারের‍‍` প্রধান সমন্বায়ক, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ও শিক্ষক ইলিয়াস রুবেল বলেন, ২০২০ সালে করোনা ক্রান্তিকালে কঠোর লকডাউনে যখন সারা দেশের মানুষের জীবন জীবিকা স্থবির, খেটে খাওয়া মানুষ এবং দিন মজুর কাজে না গেলে কিভাবে তাঁদের ঘরে চুলা জ্বলবে, সেই ভাবনা থেকে গাবতলীর কিছু যুবক আমরা রাতে এক বেলা বিনা মূল্যে খিচুড়ির ব্যবস্থা করি,  যেটা কিনা উন্মুক্ত চুলা , সবার জন্য খোলা। এক মাস লক ডাউনে খাবার বিলির পর কিছুদিন সবকিছু খুলে দিলেও রমজানে আবার লক ডাউনের ঘোষণা আসে। আমরা এইবার পরিকল্পনা করি প্রতিদিন ইফতারিতে সবাইকে খিচুড়ি দেয়া হবে  এবং পুরা রমজান চলবে।

তিনি বলেন,আমাদের ইফতারি নিতে ছোট, বড়, ধোনি, গরিব, হিন্দু, মুসলিম, মসজিদ, মাদ্রাসা সবাই আস্তে থাকে।  শুরুতে ১ডেগচি খাবার রান্না করলেও ধীরে ধীরে আমরা ৪ ডেগচি পর্যন্ত খাবার তৈরি করি, এবং একটি মসজিদে বুফে ইফতারের আয়োজন। ৪টি ভিন্য ভিন্য জায়গাতে প্রতিদিন এই ইফতারি দেয়া হয়।

ইফতার আমাদের সিগনেচার কাজ হলেও প্রতি বছর আমরা দুস্থদের মাঝে ঈদ উপহার, শীতের কম্বল, বন্যার্তদের ত্রাণ, মসজিদ মাদ্রাসায় খেজুর ও চালের বস্তা বিতরণ, বৃক্ষ রোপণ, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, কোরবানির গোস্ত বিতরণ, শিক্ষা বৃত্তি, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সাবলম্বীকরণ প্রজেক্ট, পাঠাগারসহ নানানমুখী সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছি।

তিনি আরো বলেন,আমাদের এই সকল কাজের আর্থিক জোগান একান্তই ব্যক্তিগতভাবে হয়ে থাকে। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবেরা মিলে  বিশাল এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাথে আছে একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবী, যাঁরা প্রতিনিয়ত বিনাপারিশ্রমিকে এই কাজকে সহজভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বিআরইউ

Link copied!