Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বিরতি রেস্টুরেন্টে যাত্রীদের কাছ থেকে সেহেরী-ইফতারিতে গলাকাটা মূল্য আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩০, ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম


বিরতি রেস্টুরেন্টে যাত্রীদের কাছ থেকে সেহেরী-ইফতারিতে গলাকাটা মূল্য আদায়
ছবি: আমার সংবাদ

দেশের সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যাতায়াতের সময়ে হাইওয়ের বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের সেহেরী ও ইফতারিতে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের কারণে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র যাত্রীরা দুর্ভোগে পরছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সড়ক পথে দূরপাল্লার যাতায়াতে মাঝপথে বাস কোম্পানির নির্ধারিত বিরতি রেস্টুরেন্টগুলোতে বাসের যাত্রীসাধারণকে সেহেরী ও ইফতারি করতে হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, ইফতারিতে একটি পেয়াজু , একটি বেগুনি, এক পিস জিলাপি, ১/২টি খেজুর, একটি আলুর চপ, ৫০ গ্রাম মুড়ি, ৫০ গ্রাম ছোলা, একটি ছোট সাইজের কলা অথবা এক পিছ ৪ ভাগের এক অংশ আপেল, এক গ্লাস শরবত, ২৫০এমএল এক বোতল পানি সরবরাহ করে থাকে। এসব ইফতারি যেকোনো সাধারণ রেস্টুরেন্ট থেকে কিনতে সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাগলে কুমিল্লা, লোহাগড়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের যে কোন হাইওয়ে বিরতি রেস্টুরেন্টগুলোতে এইরকম ইফতারির প্লেট প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে যে-সব কোম্পানির বাস যে-সব রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতিদেয় ওই সব রেষ্টুরেন্টগুলোর সাথে বাস কোম্পানির বড় অঙ্কের বাৎসরিক কমিশন বাণিজ্য রয়েছে।

এছাড়াও বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীসহ কোম্পানির অন্যান্য স্টাফেরা এসব রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন বিনামূল্য খাওয়া দাওয়া করে। এসব কারণে রেষ্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের কাছে পরিবেশিত প্রতিটি খাবারের গলাকাটা মূল্য আদায় করছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

সেহেরীতে ছোট ছোট ৫ পিছ গরুর মাংস এসব হোটেলগুলো ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ৩পিস মাংস থাকলে একপিস হাড্ডি, এক পিস ছর্বি থাকে। ২৫০ গ্রাম সাইজের এক পিস তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম সাইজের রুই ২৫০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনে ২পিস পাবদা ২০০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে কেউ এক প্লেট ভাত খেলেও ৩ প্লেট ভাতের  বিল আদায়ের অপকৌশল হিসেবে জন প্রতি ভাতের বিল ৫০/৬০ টাকা হারে আদায় করছেন। দেড় কাপের সমপরিমাণ পাতলা ডালের মূল্য ২০ টাকা আদায় করছেন যা এক প্লেট ভাত কোনোরকমে ভেজানো যায়।

এদিকে রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনে যাত্রীদের সেহেরী ও ইফতারির মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি কোচে লাগানো এবং রশিদ প্রদান করে মূল্য আদায়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে ইচ্ছেমতো মূল্য আদায় করছেন রেল কর্তৃকপক্ষের নিযুক্ত বেসরকারি ইজারাদারেরা।

নৌ-পথের বিলাসবহুল লঞ্চের কেন্টিনগুলোতে পরিবেশিত সেহরি ও ইফতারির গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ যাত্রীদের সেহরি ও ইফতারির মূল্য নিয়ন্ত্রণে রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

এআরএস

Link copied!